প্রত্যেক হোটেলে পুলিশের হানা, বিজেপির নোংরা রাজনীতির জেরে ত্রিপুরার পর্যটনে ক্ষতি 

Must read

সোমনাথ বিশ্বাস, আগরতলা : তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হয়ে যাওয়ার পরেও গোটা আগরতলা শহর জুড়ে চলছে পুলিশি “সন্ত্রাস”! একের পর এক হোটেলে হানা দিচ্ছে ত্রিপুরা পুলিশ। হোটেলের রুমে রুমে যখন তখন ঢুকে পড়ছে পুলিশ। জানিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হোটেল মালিক থেকে শুরু করে হোটেলের কর্মচারী ও হোটেলে ওঠা মানুষজনও। এমনই অভিযোগ করলেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির কনভেনর সুবল ভৌমিক।

আজ, সোমবার সকালে আগরতলায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরা পুলিশের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন সুবল ভৌমিক। তাঁর কথায়, “বিপ্লব দেব পুলিশকে দল দাসে পরিণত করেছে। পুলিশকে বিজেপির ক্যাডার হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে। যখন তখন হোটেলে আসা মানুষের রুমে রুমে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এমন উৎপাত শুরু হয়েছে যে হোটেল মালিকরা পর্যন্ত বলছেন, তাঁরা ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন।”

আরও পড়ুন : গোয়ায় সিদ্ধি নায়েকের রহস্যমৃত্যু নিয়ে মহিলা কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের

সুবল ভৌমিকের আরও অভিযোগ, “অন্য রাজ্য থেকে আসা মানুষজন ত্রিপুরায় ভীত-সন্ত্রস্ত। অন্য রাজ্য থেকে কেউ ব্যবসার কাজে এসেছেন, কেউ আত্মীয় কাছে এসেছেন, কেউ আবার ঘুরতে এসেছেন ত্রিপুরায়। কিন্তু যখন তখন তাদের রুমে ঢুকে পড়ছে পুলিশ। এরপর তো আর এই রাজ্যে কেউ আসবে না। এতে যেমন ত্রিপুরার বদনাম ঠিক একইভাবে পর্যটন শিল্পেরও ক্ষতি।”

এখানেই শেষ নয়। রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পর মধ্যরাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের যত ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, ব্যানার ছিল সব ছিঁড়ে দিয়েছে। খুলে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে সব দলের প্রচার করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু বিপ্লব দেবের আমলে ত্রিপুরায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। এখানে গণতন্ত্র ভুলুন্ঠিত। এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই আমরা। এভাবে তৃণমূলকে আটকে রাখা যাবে না। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনই অভিযোগ করলেন সুবল ভৌমিক।

Latest article