প্রতিবেদন : তৃষা দাস। দীর্ঘদিন ধরেই দূরারোগ্য হার্টের অসুখে ভুগছিলেন আঠাশ বছরের এই যুবতী। অনেক হাসপাতাল, ডাক্তারের দরজায় ঘুরেও কোনও আশার দেখতে পাননি তৃষা ও তাঁর পরিবার। সব আশা যখন কার্যত শেষ তখনই তৃষার জন্য আশার আলো হয়ে দেখা দিল স্বাস্থ্যসাথী। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প এই স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi)। এবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পেই হতে চলেছে তৃষার হার্ট প্রতিস্থাপন। তবে এবার সরকারি হাসপাতালে নয়, শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) প্রকল্পে নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছেন ওই যুবতী। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ট্যুইট করে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ওই ট্যুইটে বলা হয়েছে, তৃষার পেসমেকারও বসানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও বারবার তাঁর হার্ট ফেলিওর হচ্ছিল। তাই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থের সংস্থান করতে সম্মত হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে এই কাজে এগিয়ে এসেছে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যাতে এই অস্ত্রোপচার হয় তার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তৃষার পরিবার। দফতর সূত্রে খবর, তৃষার হার্ট প্রতিস্থাপন করার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন ছিল। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় এই অপারেশন হলে বিপুল খরচের হাত থেকে মুক্তি পাবে তাঁর পরিবার। রাজ্য স্বাস্থ্য অধির্কতা ডাঃ সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, বিশেষ ঘটনা হিসাবে ধরে নিয়েই এই প্রতিস্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের তরফে আশিস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্লের আওতায় এই প্রথম তাঁদের হাসপাতালে হার্ট প্রতিস্থাপন করা হবে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের তরফে এখন হার্ট প্রতিস্থাপনের প্রস্তুতি চলছে। প্রতিস্থাপনযোগ্য হার্ট পেলেই অপারেশন করা হবে।