প্রতিবেদন : নয়া ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইনের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে তিনদিনের ধর্মঘটের (Truck Strike- Criminal law) ডাক দিয়েছিলেন ট্রাকচালকরা। ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইনে ২ বছরের সাজা হত। নয়া আইনে তা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। একই সঙ্গে জরিমানার অঙ্ক বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে ট্রাকচালকরা মঙ্গলবার থেকে টানা ৩ দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর মালিকপক্ষ আন্দোলন প্রত্যাহার ঘোষণা করলেও অনড় ট্রাকচালকরা (Truck Strike- Criminal law)। মঙ্গলবার রাতে অল ইন্ডিয়া মোটর ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (এআইএমটিসি) তরফে জানানো হয়, সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে আন্দোলন। তবে ট্রাকমালিক পক্ষের সংগঠন এআইএমটিসি আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেও ট্রাকচালকদের সংগঠন কোনওভাবেই আন্দোলন প্রত্যাহারে রাজি নয়। সব মিলিয়ে জটিল আকার ধারণ করেছে পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন- ইরানে ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণ, মৃতের সংখ্যা বহু
গোটা দেশের পাশাপাশি ট্রাকচালকদের বিদ্রোহে উত্তাল বাংলাও। শহর কলকাতা থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। বুধবার সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাস ধর্মঘটে ব্যাহত পরিষেবা। সকাল থেকে কাটোয়ায় বাস ধর্মঘট, শতাধিক চালক এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন। একই ছবি বীরভূমের সিউড়িতেও। এর আগে পুরুলিয়াতেও বাসচালকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতেও ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ট্রাকচালকরা। একইভাবে উত্তরের জেলাগুলিতেও চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ। বুধবার আলিপুরদুয়ার জেলার অসম সীমানা সংলগ্ন ঘোড়ামারাতে পূর্ব-পশ্চিম জাতীয় সড়কে পথ অবরোধ করে পশ্চিমবঙ্গ ড্রাইভার মহাসংঘের সদস্যরা। এর ফলে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে পণ্যসামগ্রী নিয়ে যাওয়া ট্রাকগুলো এই অবরোধের ফলে আটকে যায়। দুপাশে তৈরি হয় লম্বা ট্রাকের লাইন।
আটকে পড়ে ভুটানের যাত্রিবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি-সহ অন্যান্য গাড়িও। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলার পর কামাখ্যাগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ অবরোধকারীদের সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
কোচবিহারের বক্সিরহাটে অসম-বাংলা সীমানায় ট্রাকচালকরাও এদিন পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। কোচবিহার শহরে এদিন বিক্ষোভ-মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা। মারুগঞ্জেও জমায়েত করেছিলেন লরিচালকেরা। কেন্দ্রীয় আইন বাতিলের দাবিতে কোচবিহার জেলা জুড়ে হয়েছে বিক্ষোভ।
বহরমপুরের নতুন বাইপাস সংলগ্ন বেলপুকুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে গাড়ির চালক ও গাড়ির মালিকরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। জাতীয় সড়ক অবরোধ চলাকালীন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বহরমপুর থানার পুলিশ। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার চকশাপুর এলাকাতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ট্রাক এবং লরিচালকেরা।