অনুপম সাহা, তুফানগঞ্জ : বাড়ির উঠোনে জোর তোড়জোড়। পালংশাক, তুলসীপাতা, ফুল নিয়ে গোল করে বসেছেন মহিলারা। রান্না, ঘরের কাজ সেরে গল্প করতে করতে তাঁরা বানিয়ে ফেলছেন নানান রকম ভেষজ আবির। তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। বায়নাও আসছে প্রচুর। তবে সবথেকে বেশি চাহিদা তুলসি আবিরের। দোল উৎসবে রং এ রাঙ্গিয়ে তুলতে স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে ভেষজ আবির তৈরি করছেন গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
এই আবির যেমন স্বাস্থ্যসম্মত তেমনি এই আবির বিক্রি করে বিকল্প আয় করছেন তুফানগঞ্জ (Tufangunj) ১ নম্বর ব্লকের নাটাবাড়ি ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। ২০১৮ সাল থেকে গ্রাম প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বাড়ি বাড়ি তুলসী বাগান তৈরি হয়। পরবর্তী কালে ভেষজ চাষ করে স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে বিকল্প আয় করছিলেন তুফানগঞ্জ (Tufangunj) ১ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। এ বছরই প্রথম তাঁরা এই ভেষজ আবির তৈরির উদ্যোগ নেন। এই ভেষজ আবিরের চাহিদা প্রচুর। ইতিমধ্যে অনলাইন এবং অফলাইনে তাঁরা প্রচুর অর্ডার পেয়েছেন। এ বছর দোল উৎসব উপলক্ষে মদনমোহন মন্দির কর্তৃপক্ষের থেকেও তাঁরা অর্ডার পেয়েছেন। এই ভেষজ আবির তৈরিতে ব্যবহার করছেন পালংশাক, বিট, কাঁচা হলুদ, গাঁদা ফুলের পাপড়ি, অ্যারারুট। আবিরে সুগন্ধী আনার জন্য চন্দন, কেওড়ার জল ব্যবহার করছেন।
আরও পড়ুন – শহর জুড়ে বসানো হবে এলইডি, দূষণমুক্ত শিলিগুড়ি গড়ার পথে পুরসভা
এ বিষয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য চায়না অধিকারী বর্মন ও ফুলতি বর্মন জানান— “এই আবির স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় ভেষজ আবিরের অর্ডার ভালই মিলেছে। এতে সমাজের যেমন উপকার হচ্ছে। তেমনি এই আবির বিক্রি করে আমরা আর্থিক উপার্জন করতে পারছি।” নাটাবাড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ বাসবকান্তি দিন্দা বলেন, “আমরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ভেষজ আবির তৈরির কর্মশালার আয়োজন করেছিলাম। এই কর্মশালাতেই আবির তৈরির পদ্ধতি বলা হয়েছে।’’