প্রতিবেদন : ১১ বছরের এক দলিত বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে জেলে ছিল ধর্ষকরা। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পায় অভিযুক্তরা। জেল থেকে বেরিয়েই নির্যাতিতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ধর্ষণে অভিযুক্তেরা। সেই আগুনে ঝলসে গিয়েছে, নির্যাতিতার ছ’মাসের সন্তান এবং তার দু’মাস বয়সি বোন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে। জখম দুই শিশুকেই কানপুরে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। ধর্ষকরা যেভাবে দুই শিশুর উপরেও হামলা চালিয়েছে তাতে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
আরও পড়ুন-বেঁকে বসল পাঞ্জাব-উত্তরপ্রদেশও, কেন্দ্রকে সাফ জানিয়ে দিল, নাফেড থেকে ডাল কিনবে না রাজ্য
অভিযুক্তরা এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় যোগীর পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণ হল যোগীরাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। এখানে প্রকাশ্যেই পুলিশের সামনে গুলি করে খুন করা হয়। ধর্ষণে অভিযুক্তেরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। বরং ধর্ষিতাকেই পিটিয়ে মারা হয়। হুমকি দেওয়া হয় নির্যাতিতার পরিবারকে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এক দলিত নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। সেপ্টেম্বর মাসে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় ওই নাবালিকা। নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে জেলে থাকা দুই যুবক নিয়মিতভাবে মামলা প্রত্যাহারের জন্য ওই দলিত পরিবারকে হুমকি দিত।
আরও পড়ুন-কর্নাটকের বিজেপি মন্ত্রীর ১৬০৯ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ
সম্প্রতি দুই অভিযুক্ত জামিনে মুক্তি পায়। জেল থেকে বেরিয়েই তারা ওই দলিত নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযুক্তেরা প্রথমে নাবালিকা এবং তাঁর মাকে বেধড়ক মারধর করে। তারপর তাদের ঝুপড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনের আঁচে ঝলসে যায় নাবালিকার ছ’মাস বয়সি পুত্র এবং দু’মাস বয়সি ছোট বোন। গুরুতর জখম ওই দুই শিশু কানপুরের হাসপাতালে ভরতি। তবে এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্তদের প্রবল চাপের কারণে ভয় ও আতঙ্কে নির্যাতিতার দাদু এবং কাকা অভিযোগ তুলে নিতে নাবালিকার মা-বাবার উপর চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু নাবালিকার মা-বাবা মামলা তুলতে নারাজ। অভিযোগ, এর পরেই নাবালিকার দাদু এবং কাকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন নাবালিকার বাবার উপর। জখম হয়ে নাবালিকার বাবাও বর্তমানে ভর্তি হাসপাতালে।