সংবাদদাতা, ডায়মন্ড হারবার : গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুরের আঁধারমানিকের দুর্গাবাটি গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি সাধন মণ্ডল খুনে বিজেপি যোগ আরও স্পষ্ট হল। সোমবার রাতে নরেন্দ্রপুর এলাকা থেকে খুনে মূল ষড়যন্ত্রকারী শুভাশিস মণ্ডল ও সুকান্ত বৈদ্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত দু’জনই এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। শুভাশিস খুনের জন্য ওরা ভাড়াটে খুনি উজ্জ্বল রায়কে ২ লক্ষ টাকা সুপারি দেয়। এর মধ্যে দু’দফায় ৩০ হাজার টাকা পায় খুনি উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন-রাজ্যের সহযোগিতায় বেড়েছে হোম-স্টে, সেজেছে ঐতিহ্যস্থান, পর্যটনে রমরমা জঙ্গলমহল
ঘটনার দিন একটি মোটরবাইকে তিনজন এসেছিল। তার মধ্যে ছিল উজ্জ্বল ও সুকান্ত। খুনের পর মোটকবাইক ছেড়ে অটোতে করে পালায়। পরে শিয়ালদা থেকে উত্তরবঙ্গের ট্রেন ধরে জলপাইগুড়ি ফেরে উজ্জ্বল। তিনদিন আগে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থেকে উজ্জ্বলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সবমিলিয়ে এই খুনে এখনও পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে। পাঁচজনেরই সরাসরি যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। ২০১৩–য় দুর্গাবাটি গ্রামে নৃশংসভাবে খুন হন তৃণমূল কর্মী আনন্দ পাত্র।
আরও পড়ুন-মানুষের ঢল সোনাঝুরিতে আয়োজিত বসন্তোৎসবে
তাতেও নাম জড়িয়েছিল শুভাশিস, সুকান্তর। তারপর সাধনের চাপে গ্রামে ঢুকতে পারছিল না শুভাশিস। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে গ্রামের দখল নিতে সাধনকে খুনের ছক কষা হয় বিজেপি কর্মী ভাস্কর মালের বাড়িতে। অন্যজন স্বপন মণ্ডল এলাকা চিনিয়ে দেওয়ার কাজ করেছিল। ভাস্কর ও স্বপনকে খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে পুলিশ।