অনুপম সাহা ও অপরাজিতা জোয়ারদার : খাতায়-কলমে জীবনের প্রথম পরীক্ষা। কিন্তু ওঁরা দুটি কঠিন পরীক্ষা দিলেন একসঙ্গে। একজন সদ্য মা হয়েছেন। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে। এক হাতে সালাইন আর কোলে সদ্যোজাত। আর একজন দু-একদিনের মধ্যে সন্তানের জন্ম দেবেন। ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। চারপাশে চিকিৎসক, নার্স। শুধু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হিসাবে নয়, মেয়েরা অসাধ্য সাধন করতে পারেন তা নারীদিবসের আগের দিন এঁরা প্রমাণ করলেন ।
আরও পড়ুন-স্বনির্ভর করতে ঋণ ৪৫৫ জনকে
প্রথমজন দিনহাটার রুবিনা পারভিন। ৪ মার্চ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু প্রসবের সাতদিন পার না হলে হাসপাতাল থেকে ছুটি পাবে না। এই অবস্থায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন রুবিনা। এরপরেই তাঁকে হাসপাতালের বিশেষ কক্ষে পরীক্ষা দেবার ব্যবস্থা করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্ত্রী হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান রুবিনার স্বামী বেলাল রহমান। দ্বিতীয় পরীক্ষার্থী রায়গঞ্জ ব্লকের হাতিয়া হাইস্কুলের ছাত্রী তাজমিরা খাতুন।
আরও পড়ুন-শিলিগুড়ির যানজট রুখতে কাজ শুরু
সোমবার সকাল ১০-৪৫ নাগাদ তিনি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন। শিক্ষা দফতর ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় দ্রুত পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেখান থেকেই এদিনের বাংলা পরীক্ষা দেন তাসমিরা। তাসমিরা বলেন, ‘‘এই অবস্থায় ভাল করে প্রস্তুতি নিতে পারিনি। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী যে এই পরীক্ষায় সফল হবই।” রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী সুপার সৌম্যজিৎ রাউত বলেন, আমরা সবসময় এই পরীক্ষার্থী মায়ের খেয়াল রাখছি।