প্রতিবেদন : কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল মৃত্যুর ফাঁড়া। পাইলটের কুশলতা ও তৎপরতায় অল্পের জন্য বাঁচলেন পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের দুই বিমানের শতাধিক যাত্রী। জানা গিয়েছে, গত রবিবার হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে ইরানের আকাশসীমায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ইরানের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ভুলেই দুটি বিমান মুখোমুখি চলে এসেছিল।
আরও পড়ুন-ওষুধের অভাবে শ্রীলঙ্কার হাসপাতালে বন্ধ হল রোগী ভর্তি
দ্য ডন পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমান পিকে-২১১ ইসলামাবাদ থেকে দুবাই যাচ্ছিল। অন্যদিকে, এয়ারবাস এ-৩২০ পিকে-২৬৮-র গন্তব্য ছিল দোহা থেকে পেশোয়ার। এয়ারবাসের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সামিউল্লাহ। পিকে-২১১ বিমানের ককপিটে ছিলেন ক্যাপ্টেন আতাহার হারুণ। দুই বিমানের উচ্চতার দূরত্ব ছিল মাত্র এক হাজার ফুট। একটি বিমান ৩৫ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ছিল। দ্বিতীয় বিমানটি উড়ছিল ৩৬ হাজার ফুট উচ্চতায়। ইরানের এটিসি থেকে এয়ারবাস এ-৩২০-কে ২০ হাজার ফুট উচ্চতা নেমে আসতে বলে। আর সেই উচ্চতা কমাতে গিয়ে দুটি পাক বিমান প্রায় মুখোমুখি এসে পড়ে।
আরও পড়ুন-জাগোবাংলা বোর্ড
পাইলটের তৎপরতায় দুই বিমানের যাত্রীই মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। কেন একটি বিমানকে ২০ হাজার ফুট উচ্চতা নেমে আসার নির্দেশ দেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবতরণের পর দুই বিমানের পাইলটই আতঙ্কে থরথর করে কাঁপছিলেন। পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের তরফ থেকে ইরানের বিমান চলাচল মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারাও জানতে চেয়েছে আচমকা বিমানের উচ্চতা কমানোর কারণ কী?