প্রতিবেদন : রাজ্যর উত্তর-দক্ষিণে হাতির হামলা অব্যাহত। লোকালয়ে ঢুকে হাতির পালের (Elephant attack) লাগাতার আক্রমণ আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাতি তাড়াতে গিয়ে আলিপুরদুয়ারে প্রাণ হারালেন বনকর্মী, আর ঝাড়গ্রামে হাতির তাণ্ডব থেকে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ দিলেন এক ব্যক্তি। রবিবার সন্ধেয় মিলল দেহ। শনিবার গভীর রাতে জলদাপাড়া বনাঞ্চল লাগোয়া আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লকের পূর্ব কাঁঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগেন্দ্রনগর এলাকায় শনিবার গভীর রাতে হাতি তাড়াতে গিয়ে বুনো হাতির সামনে পড়ে যান রিথে সুব্বা (৪৪) নামে এক বনকর্মী। বাকি সঙ্গীরা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গেলেও তিনি একেবারে বুনো হাতিটির সামনে পড়ে যান। বনকর্মীকে তুলে আছাড় মারে বুনো হাতিটি (Elephant attack)। একইসঙ্গে বুনো দাঁতালের হামলায় জখম হয়েছেন একজন। এছাড়াও কালচিনি চা-বাগান এলাকায় হাতি তাণ্ডব চালিয়ে বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এদিকে, শনিবার রাত ন’টা নাগাদ হাতির দলের তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়ায় ঝাড়গ্রাম এলাকায়। প্রায় পঁচিশটি হাতির একটি দল রাত থেকে বড় চাঁদবিলা গ্রামে তাণ্ডব চালায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হাতির দলের দাপটে নষ্ট হয়েছে বিঘের পর বিঘে জমির ধান। নিজের জমির কাছে হাতির দলের মুখোমুখি হয়েছিলেন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা পরীক্ষিত মাহাতো। হাতির দলের আক্রমণ থেকে প্রাণে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তিনি। খবর দেওয়া হয় বনদফতর ও পুলিশে। রবিবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন- রাতে বাঁশি শোনানো হয় মা সবুজকালীকে