প্রতিবেদন : আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে চলেছে কলকাতার একাধিক স্কুল? এরকমই অভিযোগ উঠেছে। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল করোনাকালে ফি বকেয়া থাকলেও কোনও পড়ুয়াকে স্কুলে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আশ্চর্যজনকভাবে আচমকাই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল জি ডি বিড়লা গার্লস স্কুল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ স্কুল গেটের সামনে পৌঁছে পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা রীতিমতো বিস্মিত। গেট বন্ধ।
আরও পড়ুন-ময়নাগুড়ির পুর বাজেটে জোর স্বাস্থ্যে
সেঁটে দেওয়া হয়েছে একটি নোটিশ। যার মোদ্দা কথা, পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা ভেবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আপাতত স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে। শুধু জি ডি বিড়লা নয়, অশোক হল গার্লস স্কুলও একই অজুহাত দেখিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে গেট। সবমিলিয়ে এই গ্রপের ৫টি স্কুলই এদিন বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অজুহাত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরাপত্তা। লক্ষণীয়, দিন কয়েক আগেই জি ডি বিড়লা স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, করোনাত্রাসে ফি বকেয়া থাকার অজুহাতে বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন-‘তৃণমূল কংগ্রেসকে ছলাকলার মাধ্যমে আটকে রাখা সম্ভব নয়’ বিস্ফোরক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ফি বকেয়া থাকলেও কোনও পড়ুয়াকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া চলবে না। আটকে রাখা চলবে না মার্কশিট এবং প্রমোশনও। প্রত্যেককে ক্লাস করার সবরকম সুযোগ-সুবিধে দিতে হবে। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয় উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকাও জারি করে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এর পরেও কর্তৃপক্ষের স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কি আদালত অবমাননা নয়? প্রশ্ন উঠেছে অভিভাবক এবং অন্যান্য মহলে।