প্রতিবেদন : বিজেপি শাসিত রাজ্যে ফের সংখ্যালঘুদের উপর অমানুষিক নির্যাতন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই যুবককে পুড়িয়ে মারা হল হরিয়ানার ভিওয়ানির বারওয়াস গ্রামে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের গো-রক্ষক বাহিনী এই ঘটনায় যুক্ত।
বারওয়াস গ্রামে একটি দগ্ধ বোলেরো গাড়ির ভিতর থেকে দুটি পোড়া কঙ্কাল মিলেছে। বোলেরোটির রেজিস্ট্রেশন রাজস্থানের ভরতপুরে। গাড়ি থেকে যে দুই যুবকের দেহ পাওয়া গিয়েছে তাদের নাম নাসির ও জুনেইদ।
আরও পড়ুন-দিল্লি-মুম্বই অফিস বন্ধ করল ট্যুইটার
ভিওয়ানি পুলিশ এবং ভরতপুর পুলিশের পাশাপাশি ফরেনসিক দলও বিষয়টির তদন্ত করছে। গুরুগ্রামের বজরং দলের বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগে এই দুই যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ আনা হয়েছে। মৃত দু’জনকেই ভরতপুর থেকে অপহরণ করে ভিওয়ানিতে এনে বারওয়াসে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল বলে মৃতদের পরিবারের অভিযোগ। এই ঘটনায় রাজস্থান পুলিশ গো-রক্ষকদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও খুনের মামলা দায়ের করেছে। দেশের সব মহল থেকে এই চরম অমানবিক ও নৃশংস ঘটনায় জড়িতদের কড়া শাস্তির দাবি উঠেছে।
আরও পড়ুন-আদানি-কাণ্ডে মোদির জবাব চান মার্কিন ধনকুবের সোরেস
ঘটনার বিষয়ে ভরতপুরের আইজি গৌরব শ্রীবাস্তব বলেছেন, একটি বোলেরো গাড়ির ভিতরে অজ্ঞাতপরিচয় দু’জনের দগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছে। গাড়ি এবং মৃতদের একইসঙ্গে অপহরণ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা সকলেই হরিয়ানার বাসিন্দা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজস্থানে আনা হবে। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি। শুক্রবার ভরতপুরে জুনেইদ ও নাসিরের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মৃতদের পরিবার অভিযোগ করেছে বজরং দলের কর্মী মনু মানেসার, রিংকু সাইনি, অনিল, শ্রীকান্ত এবং লোকেশ সিংলা, ভরতপুর থেকে নাসির ও জুনেইদকে অপহরণ করে ভিওয়ানিতে নিয়ে এসে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে।