প্রতিবেদন : করোনার সময় থেকেই অনেকেরই আয় কমেছে, টান পড়েছে রুটি-রুজিতে। সেই ক্ষত কাটতে না কাটতে গোদের ওপর বিষফোড়া, বিভিন্ন ওষুধের উত্তরোত্তর দামবৃদ্ধি। কেন্দ্রের অবিবেচনাজনিত সিদ্ধান্তে রান্নার গ্যাস থেকে পেট্রোল-ডিজেলের লাগাতার দামবৃদ্ধি ও নিত্য প্রয়োজনীয় চাল-ডাল-তেল-নুন থেকে গরিবের সামান্য মুড়িরও বাজারদর হু হু করে বাড়ায় প্রভাব পড়েছে মধ্যবিত্তের জীবনে। জিএসটি বসিয়ে কেন্দ্র আদায় করে নিতে চাইছে মানুষের কষ্টের রোজগারের অনেকটাই।
আরও পড়ুন-২০ নভেম্বর থেকে গ্রামে গ্রামে চাটাই পেতে সভা, বিজেপির খবর দিন, পরে নেব ধাপে ধাপে
মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে নেমে এসেছে দরকারি ওষুধপত্রের মূল্যবৃদ্ধি। অনেকখানি বেড়েছে হার্ট, ফুসফুস, লিভার ও ডায়াবেটিস রোগের নিদান হিসাবে ব্যবহৃত ওষুধের দাম। মানুষের চিন্তা বাড়িয়েছে এই দামবৃদ্ধি। করোনার দাপট বাড়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ওষুধের দাম। স্বাভাবিকভাবেই শুধু ক্রেতারাই নন, সমস্যায় পড়েছেন ওষুধ বিক্রেতারাও। করোনা কমলেও মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে দেখা যাচ্ছে বাক্স এক, ওষুধ এক, কিন্তু তার দাম লাফিয়ে বেড়ে গেছে অনেকটাই। ভিটামিনের অসুধ থেকে লিভারের ওষুধ, দামবৃদ্ধির জেরে জেরবার মানুষ। নিওরোপ্যাথিক ভিটামিন ওষুধের দাম ১৯৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০৯ টাকা।
আরও পড়ুন-বিজেপির ইঙ্গিতেই ইডির চক্রান্ত, দাবি হেমন্ত সোরেনের
শ্বাসকষ্টে চিকিৎসকদের নিদান রোটাক্যাপ্সের দাম ৪৭৮ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৫ টাকায়। সর্দির জন্য রেসওয়াস সিরাপের দাম দু’মাস আগেও ২০ টাকা কম ছিল। ছ’মাস আগেই ১০০ টাকা দাম বেড়েছে সেরোফ্লো ইনহেলারের। সুগারের জন্য ব্যবহৃত লিনাগলিপ্টিন ৪৮০ টাকা থেকে বেড়ে দু’মাসের মধ্যে হয়েছে ৫২০ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে ফের একচোট দাম বাড়বে বলে বিক্রেতাদের কাছে খবর আছে। নাজেহাল মানুষ আগে য়েখানে সব মিলিয়ে ৫-৬ হাজার টাকায় মাসের ওষুধ কিনতেন এখন তার জন্য গুনতে হচ্ছে প্রায় ৮-৯ হাজার টাকা। গড় হিসাবে দামবৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ। রান্নার গ্যাস, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মতোই জরুরি প্রয়োজনের ওষুধের এই লাগামছাড়া দামবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তর মাথায় হাত।