সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : পুনর্বাসনের দাবিতে খেলা চলাকালীন মাঠে ঢুকে অভিনব বিক্ষোভ দেখালেন ভূমি ধসে ক্ষতিগ্রস্তরা। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে। ৩০ অগাস্ট খনিগর্ভে বিস্ফোরণের ফলে ঝাঁঝরা এরিয়ার শীর্ষা গ্রামে ধস নামে। বেশ কয়েকটি বাড়িতে দেখা দেয় ফাটল। সংস্থা প্যান্ডেল করে ১৮টি পরিবারের থাকার ব্যবস্থা করে।
আরও পড়ুন-ঐতিহ্যের পাহাড় গড়ার প্রতিযোগিতা জলপাইগুড়িতে
স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবিতে সরব হন বাসিন্দারা। সংস্থা দাবি করেছিল, ইসিএলের জায়গায় জোর করে বাস করছে পরিবারগুলো। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, রাজ্য সরকারের পাট্টাজমিতে বসবাস করছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শ্রমিক সংগঠন ও ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে ঝাঁঝরা এরিয়া অফিসে কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয় পুনর্বাসন নিয়ে। সম্প্রতি অস্থায়ী শিবিরে পরিবারগুলিকে খাবার দেওয়া বন্ধ করে দেয় সংস্থা। ২৪টি বাড়ি, একটি মন্দির ও অতিরিক্ত চারটি বাড়ি করে দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। কাজ শুরুই হয়নি।
আরও পড়ুন-বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে চড়া সুর আলিপুরদুয়ারে
বৃহস্পতিবার নিজস্ব ক্ষুদিরাম বসু ক্রীড়াঙ্গনে ইসিএলের বাৎসরিক স্পোর্টস হচ্ছিল। ছিলেন শীর্ষ আধিকারিকরা। আচমকা মাঠে প্ল্যাকার্ড হাতে ঢুকে পড়েন ক্ষতিগ্রস্তরা। বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বাধ্য হয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আধিকারিকরা। বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির পক্ষে পলাশ পান্ডে, উত্তম মুখোপাধ্যায়, সৌগত মন্ডল, মহম্মদ ইশাক। বৈঠক শেষের পলাশ জানান, কর্তৃপক্ষ ফের রান্না করা খাবার সরবরাহ করবে। কালীপুজোর পরদিন থেকে শুরু হবে পুনর্বাসনের কাজ।