প্রতিবেদন : কেউ বলছেন বেকারির অবসাদ, কেউ বলছেন মগজধোলাই, কেউ বলছেন ষড়যন্ত্রের শিকার। সংসদে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা ঘটনা নিয়ে এখন এই ব্যাখ্যাই দিচ্ছেন। অন্যতম অভিযুক্ত সাগর শর্মার কাকা প্রদীপ শর্মার দাবি, কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি ফাঁসিয়ে দিয়েছে ওকে। বড় কোনও ষড়যন্ত্রে ভুল করে পা দিয়ে ফেলেছে ও। তাঁর আরও দাবি, এর আগে কোনও অপরাধমূলক কাজ সাগর করেনি। বুধবার সংসদে অধিবেশন চলাকালীন হঠাৎ ভিজিটর গ্যালারি থেকে লাফিয়ে পড়েছিল দুই ব্যক্তি। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা সাগর।
আরও পড়ুন-ফুলকপিতে ধসা রোগ, মাথায় হাত সুতির চাষিদের
বুধবার লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন দর্শক আসন থেকে লাফ দেয় ২ জন। এরা হল সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি। মহীশূরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া সাগর। মনোরঞ্জনও মহীশূরের বাসিন্দা। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনের মধ্যে একজন মহিলা। হরিয়ানার বাসিন্দা ওই মহিলার নাম নীলম সিং। অপরজন মহারাষ্ট্রের অমল শিণ্ডে। ধৃতদের জেরার পাশাপাশি তাঁদের বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি শুরু করে স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা আধিকারিকরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করে শুরু হয়েছে তদন্ত। এহেন পরিস্থিতিতে এবার প্রকাশ্যে এল ধৃতদের পরিবারের প্রতিক্রিয়া। ঘটনার পরেই ধৃত নীলমের মা বলেন, ‘চাকরি না পাওয়ায় দীর্ঘদিন খুব চিন্তিত ছিল নীলম। ওর সঙ্গে নিয়মিত কথা হলেও দিল্লির এই হামলা নিয়ে কিছুই জানতাম না। বারবার বলত, এত পড়াশোনা করে চাকরি না পাওয়ার চেয়ে মরে যাওয়া ভাল।’ আরেক অভিযুক্ত ডি মনোরঞ্জনের বাবা অবশ্য দাবি করেন, ‘আমার ছেলে কোনও ভুল করে থাকলে ওকে ফাঁসি দেওয়া উচিত।’ পাশাপাশি সাগরের বাবা রোশন লাল শর্মা দাবি করেছেন, তার ছেলে বেঙ্গালুরুর এক বন্ধুর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই কাজ করেছে। বেঙ্গালুরুর ওই বন্ধুই ওর মগজধোলাই করেছে। এই সবকিছুর মাঝেই এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন, ‘কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির ফাঁদে পা দিয়েছে সাগর। আগে কোনওদিন এমন কাজ করেনি ও। সাগর ষড়যন্ত্রের শিকার।’
আরও পড়ুন-বেনজির তামাশা! লোকসভায় অনুপস্থিত থেকেও বহিষ্কৃত সাংসদ!
এদিকে সংসদ থেকে গ্রেফতার হওয়া ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অভিযুক্তদের ইউএপিএ ধারায় দেশদ্রোহের মামলা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আছে কি না তা জানতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ দরকার বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।