প্রতিবেদন: ইউনেস্কোর ফোকাস বাংলা (UNESCO- West Bengal)। দুর্গোৎসবকে স্বীকৃতির পর বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পকলা সম্পর্কে জানা তাদের লক্ষ্য। আরও হেরিটেজ তকমা দিতে আগ্রহী তারা। স্বীকৃতির শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর প্রতিনিধি এরিক ফ্লট জানিয়েছেন এমনটাই। তিনি বলেন, অবিচ্ছিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের ৫০ রকমের শিল্পকলার কথা জানতে চান তাঁরা এবং এই নিয়ে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আগামীতে বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্যকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ার ব্যাপারে তাঁরা আগ্রহী। বর্ণাঢ্য আয়োজন দেখে আপ্লুত ইউনেস্কোর দুই প্রতিনিধি। পুরো বিষয়টি নিয়েই সদর দফতরে ইতিমধ্যেই তাঁরা একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। টিম কার্টিস বলেন, বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যেভাবে উৎসাহ নিয়ে এই পুজোর আনন্দে শামিল হন তা দেখে অবাক হয়েছে ইউনেস্কোও। এরিক ফ্লট জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আবার বাংলায় আসবেন তিনি। দেখবেন কলকাতার পুজো। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে উদ্যোগে এমন আয়োজন সঙ্গে বাংলার আন্তরিকতায় আপ্লুত তাঁরা। পাশাপাশি ধন্যবাদের শোভাযাত্রায় পুরুলিয়ার ছৌ-নাচ, বীরভূমের বাউল, বেলডাঙার ঢাক-সহ গোটা বাংলার সংস্কৃতি উপস্থিত ছিল। ইউনেস্কোর (UNESCO- West Bengal) প্রতিনিধিদের এগুলি নজর কাড়ে। তাই আগামিদিনে বাংলা নিয়ে যে তাঁরা ভাবছেন এবং ইতিমধ্যেই তার গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছে এমনটাই জানিয়ে গেলেন দুই প্রতিনিধি। শোভাযাত্রার ভিডিওগ্রাফি পৌঁছেছে ইউনেস্কোতে। প্রত্যেকেই আগ্রহী বাংলার দুর্গাপুজে নিয়ে। কিন্তু উৎসাহ প্রকাশ করা হয়েছে বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে।