প্রতিবেদন : অবিজেপি রাজ্যগুলিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে ভাতে মারার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। আর সেকারণেই ‘অর্থনৈতিক অবরোধ’ করে বাংলা সহ একাধিক রাজ্যের বকেয়া আটকে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সোমবার এই অভিযোগ তুলেই রাজ্যসভা থেকে একযোগে ওয়াকআউট করল তৃণমূল কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের (India alliance) শরিক দলগুলি। এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার প্রতিবাদে সরব হয়ে রাজ্যসভায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, জেডিইউ, ডিএমকে, আরজেডি, এনসিপি, সিপিএম, সিপিআই, শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী)-সহ অন্যরা।
আরও পড়ুন- পুনর্নির্মাণে চমক দিল পার্থ-দেবশঙ্করের ফেরারি ফৌজ
দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার মানুষকে ভাতে মারার প্রতিবাদে সরব তৃণমূল। লোকসভা ও রাজ্যসভা দুই কক্ষেই এই ইস্যুতে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মোদি সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে আন্দোলনে শামিল হচ্ছে অন্য বিরোধীরাও। একই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে রবিবারই ঘোষণা করা হয় ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে বসতে চলেছে ইন্ডিয়া জোটের (India alliance) চতুর্থ বৈঠক। ওই বৈঠকেই আসন বন্টনের বিষয় নিয়ে মূল আলোচনা হওয়ার কথা। রবিবার বৈঠকের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাজ্যসভায় বিরোধীশক্তি একজোট হয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হল। এই পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশ ভোটে আসন ভাগাভাগি
নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে তিক্ততা কাটিয়ে দিল্লির আগামী ইন্ডিয়া বৈঠকে থাকবেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও।
এদিকে সোমবার দুটি বিল জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধন) বিল, এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিল ২০২৩ রাজ্যসভায় বিবেচনা ও পাশের জন্য পেশ করা হয়। বিলগুলি লোকসভায় ৬ ডিসেম্বর পাশ হয়েছে।