সংবাদদাতা, বীরভূম : উৎকর্ষ বাংলার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় বাংলার সাফল্যের ধারা খুবই উল্লেখযোগ্য। বাম আমলে কারিগরি শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তা ছিল না। উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের কর্মনিযুক্তি নিয়েও পদক্ষেপ নেয়নি। সেই অব্যবস্থা দূর করে কর্মবিনিয়োগে বিগত দশ বছরে আলোর পথ দেখাচ্ছে বর্তমান তৃণমূল সরকার। শুধু বীরভূমেই ৯৮টি ট্রেনিং সেন্টার চলছে উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে। যার মধ্যে ৪২টি অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য। এক-একটি স্কুলে ইলেকট্রিক্যাল, অটোমোবাইল-সহ বিভিন্ন ট্রেডে ১০০ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। জেলায় ৫১০ জন প্রশিক্ষক আইওএসএমএসের মাধ্যমে ট্রেজারি থেকে তিন শতাংশ বৃদ্ধি-সহ মাসিক ভাতা পান।
আরও পড়ুন-বাঁকুড়ায় শুরু হয়ে গেল পুজোর অনুদান বিলি
জেলা তৃণমূল বৃত্তিমূলক শিক্ষার সভাপতি সনাতন লেট বলেন, উদাহরণস্বরূপ, আমার স্কুল বড়শাল উচ্চবিদ্যালয়ে প্রতিবছর ৯০ জন উত্তীর্ণ হয়। এখনও ১১৭০ জন উত্তীর্ণ। আমাদের ছাত্র সফিকুল জামাল। বাড়ি তারাপীঠের বুঁদিগ্রাম কাশীপুরে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রিন্টিং টেকনোলজি নিয়ে পড়ে বর্তমানে কর্মরত। বীরচন্দ্রপুরের পরেশ বায়েন ২১ সালে নিট দিয়ে শিবপুরে বিটেক করছে। মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, ভিতরে ভিতরে কর্মী-বিনিয়োগ হয়েছে। জেলার ট্রেনিং সেন্টার থেকে বহু ছেলেমেয়ে জব ফেয়ারে চাকরি পাচ্ছে। রাজ্যে ধরলে দশ হাজারের বেশি বৃত্তিমূলক ছাত্রছাত্রী সারা দেশে কাজ পাচ্ছে।