প্রতিবেদন : যোগীরাজ্যে পুলিশ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়। কিন্তু বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে পুলিশি হেনস্তার কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন ইউপিএসসির এক মেধাবী পরীক্ষার্থী। ওই পরীক্ষার্থী নিজের মৃত্যুর জন্য পুলিশি হেনস্থাকে দায়ী করে গিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে লখনউয়ের রহিমাবাদ থানা এলাকায়।
আরও পড়ুন-গোপন নথি চুরির অভিযোগ, দোষ প্রমাণ হলে ট্রাম্পের জেল হতে পারে ২০ বছর
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী পরীক্ষার্থীর নাম আশিস কুমার। লখনওয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। যোগীরাজ্যে প্রতিদিনই দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব নিতান্তই সাধারণ ঘটনা। এখানে ভরা আদালতে পুলিশের চোখের সামনে দুষ্কৃতীরা মানুষকে খুন করে। পুলিশের সামনে দিয়ে পালিয়েও যায় তারা। খনি মাফিয়ারা রীতিমতো দাপিয়ে বেড়ায়। উচ্চবর্ণের লোকজনের লালসার শিকার হয় দলিত সম্প্রদায়ের মহিলারা। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিতে পারে না। অথচ অথচ একজন মেধাবী ছাত্রকে তারা এতটাই হেনস্থা করে যে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। ওই আত্মঘাতী ছাত্র আশিস তাঁর সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন, তিন পুলিশ অফিসার তাঁর কাছে নিয়মিত তোলা চাইতেন। চাহিদা মতো টাকা না দিলে তাঁকে নিয়মিত মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন।
আরও পড়ুন-ঝড়বৃষ্টিতে মুম্বইয়ে ব্যাহত বিমান-পরিষেবা, শক্তিশালী বিপর্যয়
এই হেনস্থা ও অত্যাচার তিনি আর সহ্য করতে পারছিলেন না। সে কারণেই আত্মহত্যার মতো চরম পথ তিনি বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। পুলিশি হেনস্তার কারণেই যে আশিস আত্মঘাতী হয়েছেন সে কথাটি কার্যত মেনে নিয়েছেন লখনউ পশ্চিমের ডিএসপি রাহুল রাজ। তিনি জানিয়েছেন আত্মঘাতী পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন পুলিশ অফিসারকে পুলিশ লাইনে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার যাতে স্বচ্ছ তদন্ত হয় সে বিষয়টি তিনি দেখবেন। এই ঘটনার তদন্ত করবেন মালিহাবাদ থানার এসিপি।