প্রতিবেদন : বেশ কিছুদিন ধরেই দেশে-বিদেশে আদানি শিল্পগোষ্ঠীকে নিয়ে চর্চা চলছে। এই বিতর্কের আগুনে নতুন করে ঘি ঢাললেন মার্কিন ধনপতি জর্জ সোরেস। তিনি বলেছেন, চলতি পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জবাব দিতে হবে। একই সঙ্গে তাঁর আশা, এই পরিস্থিতির কারণে ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন-অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অংশ, মত মার্কিন সেনেটের
উল্লেখ্য, জর্জ একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। ওই প্রতিষ্ঠানটি বাক স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থাকে সাহায্য করে থাকে। জার্মানির মিউনিখে একটি সম্মেলনে অংশ নিয়ে জর্জ বলেন, আদানি গোষ্ঠীর বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি নীরব। কিন্তু তাঁকে এর জবাব দিতেই হবে। আদানি-কাণ্ড ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মোদির রাশকে আরও দুর্বল করবে। তবে তিনি আশাবাদী এর ফলে ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরবে। সোরেস এই মন্তব্য করে কার্যত এটাই বুঝিয়েছেন যে, মোদির জমানায় ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নেই।
তবে সোরসের এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেছেন, ভারতের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর হস্তক্ষেপ করার এক বিদেশি চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্তকে প্রতিহত করতে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও মানুষকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালরা বিজেপির এজেন্টের কাজ করছেন, বিজয়নের ‘বাংলা’ বক্তব্যকে সেন্সর
অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জয়রাম রমেশ বলেছেন, আদানির বিষয়টি নিয়ে জর্জের নাক গলানোর কিছু নেই। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ভারতে যে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো তৈরি করে রেখে গিয়েছেন কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলকে সামনে রেখে দেশবাসী তা পুনরুদ্ধার করবে। ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে সোরেসকে ভাবতে হবে না। তাঁর মতো মানুষ কখনওই ভারতের নির্বাচনী ফলাফল নির্ধারণ করতে পারবেন না।