প্রতিবেদন : চারিদিকে থিক থিক করছে পুলিশ। রাস্তায় পরপর ব্যারিকেড। আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে কড়া নজরদারি। তারই মাঝে নবান্নের চোদ্দোতলার ভিতর থেকে ভেসে আসছে হারমোনিয়ামের সুর আর তবলার বোল। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিনে এই তুমুল বৈচিত্রের ছবি ধরা পড়ল রাজ্যের সচিবালয় নবান্নে। প্রথা মেনে এদিন বিপ্লবী যতীন দাসের প্রয়াণদিবস পালনের আয়োজন করা হয় নবান্নে।
আরও পড়ুন-সংকট বদলে গেল উৎসবে শনাকাদের নিয়ে কলম্বোয় জনপ্লাবন
যতীন দাসের মূর্তিতে মাল্যদান করেন মন্ত্রী অরূপ রায়। তারপর রাজ্য তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। শিল্পীরা সেখানে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিনে সেখানে জীবাণুমুক্ত করার কাজও চলে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নবান্নের আশপাশের সমস্ত রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তবেই ব্যারিকেডের ওপারে যেতে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা ও হাওড়া থেকে নবান্নে পৌঁছনোর প্রতিটি পথে মিছিল আটকাতে রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন-৫৯ লাখ টাকায় পথশ্রী প্রকল্প
বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ নবান্নের টোল প্লাজা দেখে মনে হল হঠাৎ করে সেই লকডাউনের দিনগুলো যেন ফিরে এসেছে। এই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নবান্নে প্রতিটি দফতরে কাজ হয়েছে স্বাভাবিক। বাইরে থেকে যাঁরা কাজের জন্য এসেছে পুলিশ তাঁদের সংশ্লিষ্ট দফতরে পৌঁছে দিয়েছে। অর্থাৎ মানুষ বিজেপির ডাককে উপেক্ষাই করেছে। এ যেন মানুষের বিজেপির প্রতি নীরব প্রতিবাদ। স্বাভাবিকভাবেই চলেছে নবান্নের অভিমুখে বাস ও গাড়ি। সব মিলিয়ে রাজ্য সরকারের সচিবালয় ছিল আর পাঁচটা দিনের মতো প্রাণচঞ্চল।