সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্যর নিদর্শন। ৯ বছরের এক ছোট্ট বাচ্চা খেলার ছলে একটি বাঁশি (Whistle) মুখে ঢুকিয়ে দেয়। সেটা ঢুকে যায় শরীরের ভিতরে। প্রথমে কাশি হয়। কিছুদিন পর থেকে ছোট্ট ওই শিশু যখন জোরে নিঃশ্বাস ফেলত, তখনই বাঁশির আওয়াজ আসত।
আরও পড়ুন-কাটোয়া-আজিমগঞ্জ রুটে রেলের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
প্রতিবেশী ও আত্নীয় স্বজনরা পরামর্শ দিয়েছিল, খাবার খেলে মলের সঙ্গে ওই বাঁশি বেরিয়ে যাবে। কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি। অবশেষে গত পরশু সন্ধেয় জলপাইগুড়ির কুন্দারদিঘির ওই শিশুকে নিয়ে আসা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। ইএনটি ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। শিশুটিকে হাসপাতাল পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
আরও পড়ুন-ভারত মহাসাগরে দুর্ঘটনায় চিনের জাহাজ! মোতায়েন হল এয়ারক্রাফ্ট
বাচ্চাটির সিটি স্ক্যান করানো হয় এবং দেখা যায় বাঁশিটি শরীর থেকে বেরোয়নি। ফুসফুসের ডানদিকের টারমিনাল ব্রঙ্কাসের কাছে আটকে ছিল বাঁশিটি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। আজ সকালে ওই শিশুর অস্ত্রোপচার করা হয়। ফোরসেপের সাহায্যে ফুসফুসের কাছে আটকে থাকা ওই বাঁশিটি শরীর থেকে বের করা হয়।
আরও পড়ুন-হাড়ের সমস্যায় স্থগিত উচ্চতা, প্রতিকূলতা কাটিয়ে ঈশিতার দুর্দান্ত ফল আইএসসিতে
চিকিৎসক রাধেশ্য়াম মাহাতো এই অস্ত্রোপচার টিমের নেতৃত্ব দেন। শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের এই টিমে ছিলেন চিকিৎসক গৌতম দাস, চিকিৎসক ধ্রুপদ রায়, চিকিৎসক তুহিন শাসমল, চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষ, চিকিৎসক অজিতাভ সরকার, চিকিৎসক শুভম গুপ্ত, চিকিৎসক অজিতাভ সরকার, চিকিৎসক শেখ আজহারউদ্দিন ও চিকিৎসক সন্দীপ মণ্ডল।