সংবাদদাতা, সাঁইথিয়া : বীরভূমের মানুষ খুব ভাল, তাঁরা বিক্ষোভ দেখান না, আবেদন জানান। মিডিয়া মিথ্যা দেখায়, তাদের জন্য করুণা হয়। বুধবার সাঁইথিয়ার হাতোড়া ও মাঠপলসা অঞ্চলের কুনুরিতে জনসভা থেকে সভায় হাজির মানুষের উদ্দেশে এ কথা বলেন সাংসদ শতাব্দী রায় (TMC MP Shatabdi Roy)। বুধবার এই জনসভা ছাড়াও তিনি হরিসরা ও মাঠপলসায় পঞ্চায়েতের ভোটপ্রচার সারেন। হাতোড়া অঞ্চলের ছোট সিজা গ্রামে জনসংযোগ করেন সাংসদ শতাব্দী রায়। সেখানে মহিলারা সাংসদের ছবি তোলেন। এদিন হাতোড়ার মাঠপলসার কুনুরি সভা মঞ্চ থেকে সাংসদ বলেন, ‘‘আমি এক জায়গায় প্রচারে গিয়েছিলাম। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম, সেখানে ৩০ জন মহিলা আছেন। তাঁদের মধ্যে ২৫ জনই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়ে গিয়েছেন। হাত তুলে চারজন জানালেন তাঁরা পাননি। কেন পাননি? কারণ তাঁদের কাগজে ভুল ছিল। স্থানীয় সাংসদ বা বিধায়ক হাতে হাতে টাকা দিতে পারবেন না। মোদি সরকার নিত্যনতুন নিয়ম করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, যাঁরা টাকা পাননি, তাঁরা কেওয়াইসি জমা দেননি। আমাদের দলের কর্মীরা সেটা ঠিক করার চেষ্টা করছেন। জানবেন, মানুষ হাতে এই সব ঠিক করতে পারবে না। কম্পিউটার ভুল সংশোধন করে তবেই ঠিক করবে। তাই একটা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।’’ সাংসদ (TMC MP Shatabdi Roy) আরও বলেন, ‘‘আজকেও একজন মহিলা আমার কাছে অন্ত্যোদয়ের জন্য আবেদন করেন। সেটা কি বিক্ষোভ? ছেলে তো মায়ের কাছেই ভাত চাইবে। বাবার কাছে তো চাইবে না। তাহলে এটাকে কি বিক্ষোভ বলা যায়? মিডিয়া এটাকে বিক্ষোভ বলে প্রচার করছে। আমি বলছি, বীরভূমের মানুষ খুব ভাল। তাঁরা বিক্ষোভ দেখান না। মিডিয়াই মিথ্যা বলে বীরভূমের মানুষকে ছোট করছে, ভিলেন বানাচ্ছে। ২০০৯ সালে প্রথম এখানে আমি প্রচার করতে এসেছিলাম। তখন রাস্তাঘাট পাকা ছিল না। মোরামের রাস্তা ছিল। গ্রামে বিদ্যুৎও ছিল না। আমাদের সরকারই এখানে বিদ্যুৎ নিয়ে আসে। আমাদের মা-ঠাকুমারা ভাবতে পারেননি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা, কৃষকভাতার কথা, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগুলো করে দিয়েছেন। তাঁর জনমুখী প্রকল্পগুলি রাজ্যের মানুষকে নানাভাবে সহায়তা দিচ্ছে। পাশাপাশি উন্নয়নের ধারা গ্রামগঞ্জে পৌঁছে যাচ্ছে। তাই বলি, এই উন্নয়নের ধারা, নানাবিধ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে তাঁর দল, আমাদের দল তৃণমূলকেই ভোট দিন। এই দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের হাতে গড়া দল। আর উন্নয়ন হল এই দলের সিঁড়ি।’’
আরও পড়ুন- মানুষের সাড়াতেই প্রমাণ, বাংলায় তৃণমূল ছাড়া দল নেই