ব্যুরো রিপোর্ট : রাজ্যে বিরোধী দলগুলো যত পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছে, তত তারা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠছে। বিজেপি এবং অন্য বিরোধী দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণের শিকার, এমনকী খুনও হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের আঁধারমানিক এলাকার ২২ নম্বর বুথ তৃণমূল কোষাধ্যক্ষ মঙ্গল প্রামাণিককে (৩৫) বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার এক বিজেপি কর্মী। অভিযুক্ত ও নিহতের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্কও ছিল। সোমবার ভোরে সোনারপুরের গোবিন্দপুরে মাছের আড়তে যাচ্ছিলেন মঙ্গল। লাঙলবেড়িয়া এলাকায় তাঁকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটায় দেবাশিস। হাসপাতালে চিকিৎসকরা মঙ্গলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ দেবাশিসকে খুঁজছে।
আরও পড়ুন-অবসরের পর বোলিং কোচের ভাবনা, কেকেআরে খেলেই অবসর চান নারিন
নদিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অস্ত্র-সহ তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। গতকাল গভীর রাতে নবদ্বীপ পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ফাঁসিতলা কৃষ্ণকালীতলা মোড় এলাকার ঘটনা। রাতে দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধি গোষ্ঠ ভট্টাচার্যের উপর অতর্কিত হামলা করে কয়েকজন যুবক। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে গোষ্ঠর সঙ্গীরা তিন যুবককে ধরে ফেলেন। বাকিরা পালিয়ে যায়। পুলিশ একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুটি মোটরবাইক-সহ তিন যুবককে আটক করেছে। অভিযোগ, ধৃতেরা প্রত্যেকেই সক্রিয় বিজেপি কর্মী।
আরও পড়ুন-আইপিএলের দর্শক কমছে, উদ্বিগ্ন বিসিসিআই
শিলিগুড়িতে নোংরা তোলাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলে দুষ্কৃতীর হাতে নিগ্রহ হলেন শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অমর আনন্দ দাস। সোমবার সকালে। শুধু মারধর নয়, তাঁকে খুন করার হুমকিও দিয়েছে রানা দে সরকার। রানা এলাকায় মস্তান হিসেবেই পরিচিত। বিভিন্ন সময়ে অশান্তি করে বলে অভিযোগ করেছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। তৃণমূল কাউন্সিলরকে মারধরের প্রতিবাদে ওয়ার্ডের মহিলা ও সাধারণ মানুষরা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। প্রধাননগর থানার পুলিশ রানাকে ধরেছে। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।