প্রতিবেদন : সম্প্রতি মণিপুরের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে দুই কুকি মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিও সামনে আসতেই দেশ জুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। এরই মধ্যে রাজ্যের বিজেপি সরকারের অস্বস্তি বাড়ালেন দলেরই এক বিধায়ক।
আরও পড়ুন-দুর্নীতির প্রমাণ ‘লাল ডায়েরি’ ছিনতাই রাজস্থান বিধানসভায়! বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন মন্ত্রীর
পার্বত্য মণিপুরের বিধায়ক পাওলিয়েনলাল হাওকিপ বলেছেন, চলতি হিংসায় মদত জুগিয়েছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। হিংসার জন্য সরাসরি মেইতেই সম্প্রদায়ের দিকেও আঙুলও তুলেছেন হাওকিপ। এই বিজেপি বিধায়ক চলতি অশান্তির জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের দিকে আঙুল তুলে বলেছেন, জাতিসত্তার আন্দোলনকে মুখ্যমন্ত্রী মাদক সন্ত্রাসীদের বিবাদ বলে মন্তব্য করে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের লেখা নিবন্ধেই তাঁর এই মতামত জানিয়েছেন বিজেপির ওই জনজাতি বিধায়ক। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে কেন্দ্রের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং বলেছিলেন, মণিপুরে সরকার নেই। ভেঙে পড়েছে আইনের শাসন। তাই মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিয়েছে।
আরও পড়ুন-পোড়া এলাকার বাইরে ব্যবসা শুরু
উল্লেখ্য, মণিপুরে ৩ মে থেকে তীব্র অশান্তি শুরু হয়েছে। ওই ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রীকে হাওকিপ-সহ ৯ বিজেপি বিধায়ক একটি চিঠি দিয়েছিলেন। ওই চিঠিতে তাঁরা কুকি জনজাতিদের বসবাসের এলাকাকে স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ওই চিঠিতে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায় এই হিংসার জন্য দায়ী। এই সম্প্রদায়কে কৌশলে মদত জোগাচ্ছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। যদিও সরকার সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। তাই কুকিরা বর্তমানে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছে। বিজেপিরই এক বিধায়ক যখন রাজ্যের চলতি অশান্তির জন্য নিজের সরকারকে দায়ী করছেন স্বাভাবিকভাবেই তখন বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে। নতুন করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে কংগ্রেস।