প্রতিবেদন : সংসদে মহুয়া মৈত্রের বহিষ্কার প্রস্তাব নিয়ে কোমর বাঁধছে তৃণমূল। শনিবার সর্বদল বৈঠকেই সেই আভাস মিলল। শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে ৬টি ইস্যুকে হাতিয়ার করলেন তৃণমূল সাংসদরা।
এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ তৃণমূলের প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন, নীতি কমিটির প্রতিবেদনটি লোকসভায় পেশ করার আগে নির্লজ্জভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল। তাঁরা মিডিয়া রিপোর্টে দেখে জানতে পারেন তৃণমূলের একজন সদস্যকে শীঘ্রই বহিষ্কার করা হবে। রিপোর্ট পেশ করার আগে তৃণমূল নেতারা লোকসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন। তাঁরা বলেন, আলোচনার পর সংসদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন-ইউজিসির গেরুয়াকরণ সেলফি হুলিয়ায় বিস্ময়
সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে সর্বদল বৈঠকে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে চাপে রাখতে ৬ ইস্যুতে আক্রমণ শানান তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁদের অভিযোগ, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে সর্বদল বৈঠক ডেকে শুধুই সময় নষ্ট করছে কেন্দ্র। এতে কাজের কাজ কিছু হয় না। আগের বারও সরকার মাঝপথে হঠাৎ করে অধিবেশন ডেকে বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে। দুই, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, দণ্ড সংহিতা এবং সাক্ষ্য আইন— এই তিনটি আইন যেন এই অধিবেশনে পাশ করানো না হয়। কারণ এগুলোতে অনেক সংশোধন প্রয়োজন। তিন, ১০০ দিনের কাজ থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বরাদ্দ তথা রাজ্যের বকেয়া নিয়ে সংসদে আলোচনা চায় তৃণমূল। চতুর্থ দাবি, সরকার যেন এই অধিবেশন শুধু নিজেদের পিঠ চাপড়ানোর কাজে ব্যবহার না করে। মূল্যবৃদ্ধি-বেকারত্বের মতো ইস্যুতেও আলোচনার সুযোগ দিতে হবে। পঞ্চম দাবি, সংসদের কোনও কমিটির রিপোর্ট পেশের আগে যেন ফাঁস না হয়। মহুয়ার ক্ষেত্রে যেভাবে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে বলে তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল নেতারা। সবশেষে রাজ্যের শাসকদল জানিয়েছে, তাঁরা সংসদে আলোচনা চায়। সরকার যেন কোনও অজুহাতে পিঠ বাঁচাতে অধিবেশন ভণ্ডুল না করে দেয়।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে এই সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ২৩টি দলের ৩০ জন নেতা। উল্লেখ্য, ৪ ডিসেম্বর থেকে শীতকালীন অধিবেশন হবে। মোট ১৫ দিন চলবে অধিবেশন।