প্রতিবেদন: গত বছরের মতো এবছরও ভার্চুয়াল মাধ্যমেই পুজো উদ্বোধনের উপর জোর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবছর কলকাতা ও জেলার অসংখ্য পুজোর উদ্বোধনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জমা পড়ে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে দূরের পুজোর উদ্বোধন করলেও করোনা পূর্ব যুগে কলকাতা ও হাওড়ার অনেক বড় পুজোগুলি সশরীরে মণ্ডপে গিয়েই উদ্বোধন করতেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর থেকে মহামারীর প্রকোপে সেই রীতিতে ছেদ পড়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই গতবার পুজোর উদ্বোধন পর্ব সারেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-আরামবাগে মুখ্যমন্ত্রী, বিপর্যয় মোকাবিলায় বৈঠক নবান্নেও
এবারেও সেই নতুন রীতিরই পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর এপর্যন্ত তাদের কাছে পুজো উদ্বোধনের দু’হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলি ঝাড়াই-বাছাই করে মুখ্যমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হচ্ছে। তারপরে কবে থেকে কিভাবে এইসব পুজোর ফিতে কাটবেন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি নিজেই। প্রতিবছর মহালয়ার দিন থেকেই পুজোর উদ্বোধন শুরু করেন মু্খ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে মুখ্যমন্ত্রী এবছরও অধিকাংশ পুজোর উদ্বোধন করবেন ভার্চুয়াল মাধ্যমেই। গত বছরের মতো এ বছরও নবান্ন সংলগ্ন নবান্ন সভাঘর থেকে তিনি পুজোর উদ্বোধন করবেন এরকম ইঙ্গিত পেয়ে প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন-গোয়া তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান প্রাক্তন ফুটবলার-বক্সারের
তথ্য সংস্কৃতি দফতরের ব্যবস্থাপনায় নবান্ন সভাঘরকে ওই অনুষ্ঠানের উপযুক্ত করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তথ্য সংস্কৃতি দফতর সূত্রে খবর, নবান্ন সভাঘরের অন্দরসজ্জায় প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ যুক্ত করা হচ্ছে। ঢাকি থেকে ধুনুচি নাচ, কাশফুল থেকে কলা বউ পুজোর সমস্ত অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ গুলি থাকছে সেখানে। মঞ্চসজ্জা ব্যবহার করা হচ্ছে মঙ্গলঘট, চাঁদমালা, আম্রপত্র, শঙ্খ, কাঁসর ইত্যাদি। পুজোর মেজাজ আনতে শিশির ভেজা শিউলি, কাশফুল, নীল আকাশ, পেজা তুলো মেঘ এসবও থাকবে ভার্চুয়াল ভাবে।