প্রতিবেদন : রাজ্যে আলুবীজের উৎপাদন এক ধাক্কায় প্রায় চারগুণ বাড়ছে। গত মরশুমে ৪৬২ মেট্রিক টন আলুবীজ উৎপাদন করে কৃষকদের মধ্যে বণ্টিত হয়েছিল। তা এবার প্রায় ১৭৭০ মেট্রিক টনে পৌঁছবে বলে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তিনি জানান, পাঞ্জাব থেকে আলুবীজের আমদানি কমিয়ে স্বনির্ভর হতে বছরচারেক আগে রাজ্যের সরকারি কৃষিখামারে ভাইরাসমুক্ত উন্নতমানের আলুবীজ তৈরির কাজ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী যার নাম দিয়েছিলেন ‘বঙ্গশ্রী’।
আরও পড়ুন-প্রতিবাদে তৃণমূলের মৌন মিছিল, আসানসোল-কাণ্ড
মেদিনীপুর কৃষিগবেষণা কেন্দ্রে প্রথম বঙ্গশ্রী বীজের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। পরে কেশপুরের আনন্দপুর ফার্ম এবং নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সরকারি গবেষণাগারে উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে হুগলি, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতেও বিভিন্ন কৃষি সমবায়ের মাধ্যমে ভাইরাসমুক্ত এই বঙ্গশ্রী আলুবীজ তৈরি করে কৃষকদের মধ্যে ভরতুকি দেওয়া দামে তা বণ্টন করা হচ্ছে। পাঞ্জাবের আলুবীজ যেখানে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, সেখানে বঙ্গশ্রী বীজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা ভরতুকি দিয়ে ২২ থেকে ২৫ টাকা দরে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ৩৭টি সংস্থার মাধ্যমে জেলায় জেলায় শিবির করে বঙ্গশ্রী বীজ বিক্রি করা হচ্ছে। ২০২৪-এর মধ্যে এই বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার টন। এতে আগামী দিনে রাজ্য আলুচাষে পুরোপুরি আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে। কৃষকদের আয় বাড়াতে আলুবীজের রফতানি বাড়ানোর ওপরেও জোর দেওয়া হবে বলে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে ধরনা নয়, রায় হাইকোর্টে
কৃষি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, আলুচাষিরা যে পাঞ্জাবের বীজ ব্যবহার করেন, সেটা ভাইরাসমুক্ত নয়। কিন্তু বঙ্গশ্রী ভাইরাসমুক্ত। ফলে ভাইরাস, ছত্রাক কিংবা কীটপতঙ্গের আক্রমণের ভয় নেই। ফলনও বাড়বে।