দিঘা মোহনার ভাঙনস্থল পরিদর্শন

১৪ই সরেজমিনে আসছেন সেচমন্ত্রী

Must read

প্রতিবেদন : একের পর এক দুর্যোগ দিঘা এবং সংলগ্ন এলাকায় মানুষকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে। তবু ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে দিঘা। রবিবার তা দেখতেই এলাাকায় যান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Digha- Kunal Ghosh)। বিরোধী দলনেতা সেচমন্ত্রী থাকাকালীন বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকা উন্নয়নের। ‌কিন্তু কাজের কাজ যে কিছু হয়নি তা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করলেন তিনি। স্থানীয় মানুষজন সরাসরি অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। তাঁরা বলেন, ‘সেচমন্ত্রী থাকাকালীন উনি বারবার এলাকা উন্নয়নের কথা বলেছেন। কিন্তু পরে আর দেখা মেলেনি। আমরা যে তিমিরে সেই তিমিরেই আছি।’ সম্প্রতি বিজেপি নেতা-অভিনেতা পরেশ রাওয়াল বাঙালির মাছ খাওয়া নিয়ে যে কটূক্তি করেন, বাংলার অন্যতম মৎস্যকেন্দ্রে গিয়ে তার কড়া নিন্দা করেন কুণাল। এর পর দিঘা মোহনায় মানুষের দুর্দশা দেখে ও শুনে সেখান থেকেই সরাসরি ফোন করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। সব শুনে মন্ত্রী তখনই জানিয়ে দেন, আগামী বুধবারই দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে এলাকা পরিদর্শনে এসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন। দিঘা (Digha- Kunal Ghosh) মোহনার কাছে মৈত্রাপুর মৎস্যখটিতে মৎসজীবীদের সঙ্গে চায়ের আড্ডায় যোগ দেন কুণাল। ছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরিও। শোনেন মৎসজীবীদের নানা অভাব-অভিযোগ। মূল সমস্যা মোহনা-সংলগ্ন চম্পানদীর পাড়ে ভাঙন। একাধিকবার এ নিয়ে অভিযোগ করা হলেও সেচ দফতর কাজ করেনি। সেই কাজে এগিয়ে এলেন কুণাল। চায়ের আড্ডা সেরে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ঘুরে দেখলেন ভাঙন এলাকা। এলাকায় বহু মৎস্যজীবী পরিবারের বাস। চলছে মাছ প্রসেসিংয়ের কাজ। শুঁটকি মাছের আড়তের মধ্যে দিয়ে ভাঙন পরিদর্শনে গিয়ে নদীপাড়ে এক মৎসজীবীর অস্থায়ী বাড়ি চোখে পড়ায় সেখানে থাকা নিয়ে তাঁকে সতর্ক করেন। এরপর এলাকার সমস্যা দেখে সেই বিষয়ে সেচমন্ত্রীকে বিস্তারিত বলতেই সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানিয়ে দেন, দুদিন পরই ভাঙন পরিদর্শন আসবেন তিনি। সে কথা এলাকাবাসীকে জানিয়েও দেন কুণাল। তাঁর কথায় আশ্বস্ত মৎস্যজীবীরা দিন গুনছেন পট পরিবর্তনের।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ৫ দফতরের সমন্বয়ে অভিযোগহীন পরীক্ষা

Latest article