সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের পিতা আশুতোষ সেন এক দশমিক পঁচিশ ডেসিমেল জমির অধিকারী। বাকি তেরো ডেসিমেল জমি লিজে দেওয়া জমির অতিরিক্ত এবং তা ফেরতযোগ্য। এই দাবি বারবার নোটিশ মারফত বিশ্বভারতী নোবেলজয়ীকে জানিয়েছে। কিন্তু শেষমেশ তথ্য জানার অধিকারে নীলকণ্ঠ মণ্ডল নামে মালদার এক বাসিন্দা তথা আইনের এক পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন করেন। তার প্রেক্ষিতে যে নথি তার কাছে এসেছে তাতে পরিষ্কার, বিশ্বভারতীর কাছে জেরক্স কপি ছাড়া আসল কোনও দলিল নেই যার ভিত্তিতে ওই জমি নিয়ে তারা এমন জোরালো আবেদন করতে পারে।
আরও পড়ুন-‘এক ডাকে অভিষেক’-এ ফোন করেই মুশকিল আসান, ২৪ ঘণ্টায় অ্যাডমিট কার্ড পেল ছাত্রী
নীলকণ্ঠ জানান, বিশ্বভারতী জগদ্বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের মতো বিশ্ববরেণ্য মানুষের একটি সম্মান আছে। সামান্য তেরো ডেসিমেল জায়গা নিয়ে যা হচ্ছে তা বাঞ্ছনীয় নয়। তাই সত্যটা জানতে আমি তথ্য জানার অধিকারে বিশ্বভারতীর কাছে আবেদন করি। বিশ্বভারতী তার মোট চারটি উত্তরের মধ্যে দুটি উত্তরে জানায়, ১৯৪৩ সালে ৯৯ বছরের লিজে অমর্ত্য সেনের বাবার নামে যে জমি দেওয়া হয় তার পরিমাণ ১.২৫ ডেসিমেল। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের অন্তর্ভুক্তির যুক্তি দেখিয়ে বিশ্বভারতীর প্রামাণ্য দিতে অস্বীকার করেন এস্টেট অফিসার তথা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার দুই।
আরও পড়ুন-ইডি-সিবিআইয়ের অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব তৃণমূলের
পাশাপাশি, তথ্য বা প্রামাণ্য চাক্ষুষ করতে আবেদনকারীকে আসতে বলা হয়। কিন্তু যে তারিখে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়, সেই তারিখ পার হয়ে আবেদনকারীর কাছে চিঠি আসে। এর পর ইমেল মারফত বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে চলতি বছরের ১০ মার্চ হাজিরার তারিখ দেওয়া হয়। নীলকণ্ঠ বলেন, এস্টেট অফিসে গিয়ে লিজ দলিলের অথেনটিকেটেড কপি দেখতে চাইলে ওঁরা জেরক্স কপি দেখান, তার ৫ নম্বর পাতায় নিচের দিকে জমির পরিমাণ ১.২৫ একর লেখা হলেও উপরের অংশ ও নিচের অংশের টাইপিং-এ দু’রকম লেখা আমার চোখে পড়ে।