সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ‘খোশগল্পের’ সমার্থক প্রতিশব্দ যৌনতা। অভিধানে এমন তথ্য না-থাকলেও এই শব্দবন্ধকেই হাতিয়ার করে তদন্তকারী মহিলার সঙ্গে অনৈতিক যৌনতার দায়ে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) উপাচার্য। কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়ে দায়ের হওয়া মামলার পর্যবেক্ষণে স্পষ্টভাষায় এই অভিযোগকে হাস্যকর বলে উল্লেখ করেছে। শুধু তাই নয়, হলফনামা জমা দিতে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় আদালতের ভর্ৎসনার মুখেও পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী। আরও ১৫ দিন সময় হলফনামা জমা দেওয়ার জন্যন দিলেও এই বিলম্বের কারণে হাইকোর্ট বিশ্বভারতীকে (Visva Bharati) দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানার ওই টাকা ভারত সেবাশ্রমকে দান করতেও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন – আম্বানিকে টপকে গেলেন আদানি
উল্লেখ্য, সামাজিক মাধ্যামে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) পক্ষে অবমাননাকর পোস্ট করার অভিযোগে ২০২০ সালের ৪ অগাস্ট অর্থনীতির অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে তদন্তকারী আধিকারিক তথা পাঠভবনের অধ্যক্ষা বোধিরূপা সিনহার কাছে হাজির হতে বলা হয়। বোধিরূপার কাছে নির্দেশমতো হাজির হয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেন, ‘‘চার্জশিট না দিলে আমি আর কীই বা বলতে পারি! আপনার সঙ্গে এই খোশগল্প করে গেলাম। এটাই যথেষ্ট।”
৬ অগাস্ট গোটা বিষয়টি উপাচার্যর কাছে তাঁর নির্দেশক্রমে লিখিত আকারে জানান বোধিরূপা। সেই চিঠি উপাচার্য পাঠান ইন্টারন্যাল কমপ্লেইন্ট কমিটির চেয়ারপার্সন শকুন্তলা মিশ্রকে। ২০২০ সালের ১৪ অগাস্ট শকুন্তলা ‘খোশগল্প’ শব্দটিকে যৌনতার সূচক হিসেবে ধরে নিয়ে সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হতে বলেন। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন সুদীপ্ত। তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বারবার হলফনামা জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আপাতত এই বিলম্বের কারণে বিশ্বভারতীকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। চূড়ান্ত রায়দান এখনও হয়নি।