সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর আরও এক কুকীর্তি সামনে। পড়ুয়াদের গুচ্ছ অভিযোগে না কান দিয়েছেন উপাচার্য, না তদন্ত কমিটি। ফলে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির চার ছাত্রী প্রতিবাদে অনশনে বসলেন। দীর্ঘদিন ধরে ওঁরা শারীরিক ও মানসিক শোষণের শিকার। ওঁদের দুজন ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং এক প্রসূতিও ছিলেন। অভিযোগ, কোনও ক্ষেত্রেই নৃতত্ত্বের বিভাগীয় প্রধান অর্ণব ঘোষ নিয়মের ধার ধারেননি, উপরন্তু সুপারভাইজার হিসেবে ছাত্রীদের কুইঙ্গিত দিতেন।
আরও পড়ুন-বর্ধমান থেকে নদিয়ার করিমপুর হয়ে যাবে কলকাতা, দুটি পরিবেশবান্ধব বাস চালু হল
দীর্ঘদিনের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের প্রতিবাদেই নৃতত্ত্বের চার ছাত্রী উপাসনা গৃহ থেকে দূরে সুবর্ণরেখা মোড়ের উল্টো দিকে হাতে পোস্টার নিয়ে একদিনের অনশনে বসেন। এঁদের কয়েকজনের অ্যাকাডেমিক কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছেন অভিযুক্ত অর্ণব ঘোষ বলে অভিযোগ। ছাত্রীরা উপাচার্য, আইসিসি (অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি) ও বিভিন্ন দফতরে জানিয়েছেন। কাজ না হওয়ায় এবার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক, আচার্য, পরিদর্শক এবং ওবিসি কমিশনকে অভিযোগ জানাতে চলেছেন।
আরও পড়ুন-বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল পথে, বেধড়ক মারে চারজন আহত
পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আগত নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অভাবী ছাত্রী জানান, তাঁকে হুমকি দিয়ে প্রথম সেমেস্টারে ফেল করিয়ে দেন অর্ণব। তাতে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ থেকে বঞ্চিত হন তিনি। পিএইচডির এক ছাত্রী বলেন, রিসার্চ পেপারে সই না করা শুরু করেন। ওঁর চারিত্রিক দোষ ছিল। বলতেন, সুযোগ দিলে সুযোগ পাওয়া যাবে। উপাচার্য, কর্মসচিবকে আইসিসিকে জানিয়েও উত্তর পাইনি। আরেক পিএইচডি ছাত্রীর অভিযোগ, দুই বছর আগে কাজ শেষ হলেও, ফাইনাল সাবমিশন আটকে দেওয়া হয়েছে কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায়। অনশনের পরেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলন আরও তীব্রতর করা হবে বলে জানালেন ওঁরা।