সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : আদালতের নির্দেশ মেনে নৃত্য ও নাটক বিভাগের অধ্যাপক রাজেশ বেণুগোপালকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিতে বাধ্য হলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Visva Bharati- Bidyut Chakraborty)। তাঁর খামখেয়ালিপনায় অর্থ গুনাগার দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেখানেও মুখ পোড়ে। ইতিমধ্যে সিঙ্গল বেঞ্চে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন অধ্যাপক বেণুগোপাল। এর উপর ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখায় মামলাবাজ উপাচার্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারতেন। কিন্তু ২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট করেন অধ্যাপক বেণুগোপাল। উপায়ন্তর না পেয়ে ৬ জানুয়ারি তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার এবং কাজে যোগদানের নির্দেশ দিতে বাধ্য হন উপাচার্য। ফের আদালত অবমাননার মামলা থেকে পিঠ বাঁচাতেই এই নির্দেশ বলে মনে করছেন অধ্যাপকদের একাংশ। গত বছর ৩০ মার্চ কলকাতা উচ্চ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ পরিষ্কার বলে যে অধ্যাপক বেণুগোপালের বিরুদ্ধে শৃংখলাভঙ্গের বিচার কর্মসমিতি দেখতে পারে। কিন্তু কর্মসচিব উপাচার্যর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এমন নির্দেশ দিতে পারেন না, বিশ্বভারতীর (Visva Bharati- Bidyut Chakraborty) স্ট্যাটুয়েটের সঙ্গে এর সঙ্গতি নেই। এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে বেণুগোপাল কাজে যোগ দিতে গেলেও তা দিতে না দেওয়ায় তিনি আদালত অবমাননার মামলা করেন। বিশ্বভারতী সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে রায়ের উপর স্থিতাবস্থা চেয়ে। ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় কার্যকর করার নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শোকজ নোটিশ ধরানো হয় সঙ্গীতভবনের অধ্যাপক বেনুগোপালকে। কদিন পর চার্জশিট দেওয়া হয় এবং মার্চে তাঁকে সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতী। ন্যায়বিচার চেয়ে কলকাতা উচ্চ আদালতে মামলা করলে কাজে যোগ দেওয়া-সহ সমস্ত সুযোগসুবিধা এবং বকেয়া মেটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।