প্রতিবেদন : আদালতের নির্দেশ, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election- Central Forces) প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সেই আদেশ পূরণ করতে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। চাহিদামতো বাহিনী দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু ভোটের একদিন আগে মোটের উপর স্পষ্ট, প্রতিশ্রুতিমতো কেন্দ্রীয় বাহিনী অন্তত ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ শনিবার পাওয়া যাচ্ছে না। আদালতের নির্দেশমতো যদি সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করা যায়, সেক্ষেত্রে আদালত অবমাননার দায় কার উপর বর্তাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ৮২২ কোম্পানির বাহিনী (Panchayat Election- Central Forces) দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি মেলার পরেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত একাধিক দফায় রাজ্যে মোতায়েন হয়েছে মোট ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যাদেরকে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার ভোটগ্রহণের আগের দিন আরও কিছু বাহিনী রাজ্যে এসে পৌঁছবে। এর ফলে সব মিলিয়ে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত রাজ্যে এসে পৌঁছবে ৬৯৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যা প্রতিশ্রুত ৮২২ কোম্পানি থেকে অনেকটাই কম। একই সঙ্গে শুক্রবার রাতে রাজ্যে এসে পৌঁছনো বাহিনীকে কীভাবে সকালের মধ্যে বুথ পর্যন্ত পাঠানো হবে তা নিয়েও ধন্ধে রয়েছেন কমিশনের কর্তারা।
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামেই চোর-চোর-চোরটা স্লোগান! শুনে অশালীন মন্তব্য গদ্দার অধিকারীর
জানা গিয়েছে, প্রার্থীর মৃত্যু এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের জন্য এক হাজার ৪৩টি বুথে ভোট হচ্ছে না। ফলে আগামী শনিবার ৬০ হাজার ৫৯৩টি বুথে ভোটে হচ্ছে। অঙ্কের নিয়মে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করতে হলে (কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী একসঙ্গে কমপক্ষে চারজন জওয়ান মোতায়েন করতে হয়) এই সংখ্যক বাহিনী দিয়ে কখনওই তা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় ভোটের দিন শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রত্যেক বুথে একজন কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের একজন সশস্ত্র পুলিশ অফিসার মোতায়েন রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু বাহিনীর সংখ্যা কার্যক্ষেত্রে আরও প্রায় ১০০ কোম্পানি কমে যাওয়ায় আদালতের নির্দেশমতো প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। উঠছে আদালত অবমাননার প্রশ্নও। কিন্তু সেই দায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপরেই বর্তায় বলে প্রশাসনিক মহলের অভিমত। এদিকে, বৃহস্পতিবার কমিশন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ বাবদ ৩৫০ কোটি টাকা চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছে। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের খরচ কেন্দ্রীয় সরকারকে বহন করতে হবে।