শত্রুঘ্নর জয় সময়ের অপেক্ষা

Must read

সংবাদদাতা, আসানসোল : শাপমুক্তির প্রহর গুনছে আসানসোল। দীর্ঘ কয়েক দশকের থমকে থাকা উন্নয়ন পথ চেয়ে আছে মুক্তির আশায়। খনিশহরের লোকসভা আসনে জোড়াফুলের প্রার্থীর বিপুল জয়ের মধ্যে দিয়েই বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে তৈরি হচ্ছে প্রতিটি মানুষ। গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহ উপেক্ষা করে আসন্ন জয়ের জন্য সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। মিষ্টিবিক্রেতারা কয়েকদিন আগে থেকেই সবুজ রসগোল্লা বানিয়ে রাখছেন। অকাল হোলির জন্য বাজারে এসে গেছে সবুজ আবির। এই কেন্দ্রের তারকা প্রার্থী তৃণমূলের (Trinamool Congress) শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। ভোটপর্ব চলাকালীনই বুঝে যান তাঁর জয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। তীব্র গরমের মধ্যেও যেভাবে প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বুথে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বিজেপির শত প্ররোচনা উপেক্ষা করে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তাণ্ডবকে প্রায় তুড়ি মেরে যেভাবে বুথমুখো হয়েছেন, সেদিনই আসানসোলের মানুষ দলের প্রার্থীর কপালে জয়তিলক এঁকে দেন বলে প্রত্যয়ী তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রার্থী নিজেও। শুক্রবার সেই প্রত্যয়েরই সুর ছিল তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, শনিবার ভোটগণনা শুরু হলেই বিরোধী শিবিরের মুখের হাসি মিলিয়ে যেতে সময় লাগবে না। বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের যাবতীয় কুৎসা-অপপ্রচারের জবাব যে মানুষ ইভিএমে দিয়েছেন, তা স্পষ্ট হবে। রাজ্যের মানুষ এখন উন্নয়নকে ফিতেয় মেপে ভোটের বোতাম টেপেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা তো ভোটপাখি। ভোটে লড়ার জন্য ওদের মানুষের আশীর্বাদ নয়, প্রয়োজন হয় ইডি, সিবিআই, নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর। সেই শক্তি নিয়েই ওরা বাজিমাত করবে ভেবেছিল, কিন্তু মানুষ ওদের চক্রান্ত ধরে ফেলেছে। তাই এবার গেরুয়া শিবির দু লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারবে বলে তিনি মনে করেন।

Latest article