প্রতিবেদন : রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে নেই বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, মণিপুর, বাংলাকে বঞ্চনা সহ দেশের জ্বলন্ত ইস্যুগুলির কথা। এরই প্রতিবাদে বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস কিছু সময়ের জন্য ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যায়। রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে ধন্যবাদসূচক প্রস্তাবের সমর্থনে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বুধবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন-পানীয় জল ও রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে নয়া পরিষেবা, চালু হল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর
যদিও দেশের জ্বলন্ত সমস্যাগুলির ধারপাশ দিয়েও যাননি তিনি। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের টার্গেট করে পুরোটাই ছিল তাঁর রাজনৈতিক প্রচার। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, দেশের বর্তমান চরম আর্থিক বৈষম্য যা সংবিধানের প্রস্তাবনা ও ৩৯(খ) ও (গ) ধারার পরিপন্থী, সর্বকালীন সর্বোচ্চ বেকারত্ব, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে তছনছ করা, বাংলার পাওনা টাকা আত্মসাৎ করে গরিব বাঙালিকে ভাতে মারার কেন্দ্রীয় চক্রান্ত নিয়ে কোনও কথাই বলেননি প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবাদে কয়েক মিনিটের জন্য কক্ষত্যাগ করেন তৃণমূল সাংসদরা। আলাদাভাবে অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও কক্ষত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে বাজেট বিতর্ক শুরু হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যরা সভায় ফিরে আলোচনায় অংশ নেন। রাজ্যসভায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাজেট বিতর্কে অংশ নেন সাংসদ জহর সরকার ও ডাঃ শান্তনু সেন।