প্রতিবেদন : অতিমারির আবহে রাজ্যে পালিত হচ্ছে আরেক উত্সব। কোভিডিবিধি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাতে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ছটপুজোর আয়োজন করা হয় তার জন্য সার্বিক ব্যবস্থাপনা করেছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনের দাবি, তাঁদের তরফে ছটপুজো আয়োজনের যে বন্দোবস্ত করা হয়েছিল বুধবার প্রথম দিনে তা একশো শতাংশ সফল। ছটপুজোকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ঘাটগুলোতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ বাহিনী। কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে শুরু হয়েছে সূর্যবন্দনা। পূণ্যার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে ধর্মাচরণ করতে পারেন সেদিকে কড়া দৃষ্টি রেখেছে পুলিশ। পাশাপাশি সকলকে কোভিডবিধি মেনে চলার জন্য লাগাতার অনুরোধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে যাতে কেউ ছটপুজো করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে ওই দুই সরবোরে মোতায়েন করা হয়েছে কড়া পুলিশি প্রহরা। এই বছর ছটপুজো উপলক্ষে দু’দিন ছুটি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই ছটকে কেন্দ্র করে পুরদস্তুর উত্সবের মেজাজ রাজ্যে। পুলিশ সূত্রের খবর, গঙ্গা ছাড়াও কলকাতার ৩৯টি ঘাটে হচ্ছে ছটপুজো। অস্থায়ীভাবে যাদবপুর, কসবা, আনন্দপুর থানা এলাকায় ৩২টি ঘাট ঠিক করে ছটপুজোর উপযুক্ত করে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি নোনাডাঙা এবং পাটুলিতেও ৭টি ঘাট ঠিক করা হয়েছে। দূষণ রুখতে এই বছর কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রত্যেকটি ঘাটে। পাশাপাশি জলে নামার পরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্যও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ভোট প্রস্তুতিতে জরুরি বৈঠক ডাকল কমিশন
এর জন্য গোটা কলকাতা জুড়ে সাড়ে চার হাজার পুলিশকর্মীকে পথে নামানো হয়েছে। অন্যদিকে, ছটপুজোর দূষণের পাশাপাশি বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা যেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করা হয় সেদিকেও নজর রাখছে প্রশাসন। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন গঙ্গার ঘাটগুলিতে ছটপুজো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কলকাতা পুরসভা সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রত্যেক ঘাটেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড়-বড় ঘাটগুলিতে দমকলের গাড়ি থাকছে। প্রত্যেকটি ঘাটেই থাকছে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। দুর্ঘটনার মতো ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য রিভার ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি রয়েছে। এদিকে, আদালতের নির্দেশে গতবারের মতো এবারও রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা যাবে না। সরোবরে প্রবেশের সব ক’টি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। রবীন্দ্র সরোবরের পাশাপশি বেলেঘাটা সুভাষ সরোবরেও ছট পুজো করা যাবে না। সেখানেও প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।