সংবাদদাতা, কাটোয়া : কচুরিপানা শুকিয়ে হস্তশিল্পসামগ্রী তৈরি করে গ্রামের মেয়েদের রোজগারের নয়া পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে এলাকার দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের নিয়ে ক্লাস্টার তৈরি করে শুরু হল প্রশিক্ষণ। নাদনঘাটের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের বড় কোবলায়। প্রশিক্ষণ শিবিরে ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান অনুপ দে, বিডিও দেবব্রত জানা প্রমুখ। আগে কচুরিপানা থেকে হস্তশিল্পসামগ্রী তৈরির প্রায় দু’মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এলাকার ২০ জন মহিলা।
আরও পড়ুন-দেশের নয়া সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে
প্রশিক্ষণপর্বটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল খালবিল ওয়েলফেয়ার কমিটি। এই হস্তশিল্প সামগ্রী উৎপাদন ও বিপণন নিয়ে এর আগে হস্তশিল্প বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠকও করেন স্বপন। বলেন, ‘‘শুকনো কচুরিপানা থেকে বিভিন্ন ধরনের বাস্কেট, পাপোশ, ফুলদানি তৈরি করা যায়। এগুলি দেখতে আকর্ষণীয় আবার পরিবেশবান্ধবও বটে। এটা বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ খুলে দেবে। কাঁচামাল হিসেবে এই এলাকায় কচুরিপানাও পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।’’ এইসব শিল্পসামগ্রীর চাহিদা ভালমতো হবে বলেই বিশ্বাস মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন-আফগানিস্তানে পাক হামলা, হত ৪৭
পূর্বস্থলী জুড়ে ছোট-বড় প্রচুর জলাশয়। রয়েছে ভাগীরথীর খাত। সেসব জায়গায় কচুরিপানার অভাব নেই। অযত্নেই বাড়ে। তাই চাষে কোনও খরচ নেই। বরং এগুলি সরিয়ে নিতে পারলে জল স্বচ্ছ হয়। মাছেরও বৃদ্ধি ভাল হয়। কচুরিপানা থেকে ভাল সারও তৈরি হয়।