জলেই জীবন

মিষ্টি জল সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল হিমবাহ। কিন্তু সভ্যতার আধুনিকীকরণ এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে তা দ্রুত গলছে। সেইসঙ্গে চলছে ভয়াবহ জলের অপচয়। সাবধান না হলে আগামীতে তীব্র জলসংকটে পড়তে পারে গোটা পৃথিবী। এই মর্মে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ২২ মার্চ পালিত হয় বিশ্ব জল দিবস। পালিত হয়েছে এই বছরও। আশা করা যায়, জোরদার প্রচারের ফলে জল এবং হিমবাহ সংরক্ষণের ব্যাপারে মানুষ সচেতন হবেন। লিখলেন অংশুমান চক্রবর্তী

Must read

দেখা দিতে পারে সংকট
রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় মাঝেমধ্যেই জল অপচয়ের দৃশ্য চোখে পড়ে। স্নান সেরে, বালতি ভরে অনেকেই কল খোলা রেখেই হাওয়া হয়ে যান। অকারণে জল নষ্ট হচ্ছে, সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করেন না। এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়, যাঁরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত জলে শরীর ভেজান, জামাকাপড় কাচেন। নদী, দিঘি, পুকুরের জলে বর্জ্য পদার্থ ফেলেন কেউ কেউ। এঁরা জল পরিশুদ্ধ রাখার ব্যাপারে একেবারেই সচেষ্ট নন। এঁদের জন্যেই যে ভবিষ্যতে জলসংকট দেখা দিতে পারে, বোঝার চেষ্টা করেন না। অথচ প্রত্যেকেই ছোটবেলায় পাঠ্যবইয়ে পড়েছেন জলের অপর নাম জীবন। সেই জীবনকে সুন্দর, স্বচ্ছ না রাখলে যে মহাসংকটে পড়তে হবে প্রাণীকুলকে, সেটা তাঁরা ভুলে যান।

আরও পড়ুন-পুলিশকর্মীদের পোস্টিং-বদলিতে নয়া নিয়ম, আবেদন শুধু অ্যাপে

কিছু অংশ পানীয়
বিশ্বের ৯০ ভাগ জল। তবে পরিস্রুত পানীয় জল খুব বেশি নেই। যেটুকু রয়েছে সেটাও সম-বণ্টন নয়। অন্যদিকে ক্রমশ জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে সাবধান না হলে ভয়াবহ জলকষ্টের মুখে পড়তে পারে গোটা পৃথিবী। বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদদের একটি বড় অংশ বহুদিন ধরেই এমন সতর্কবার্তা দিয়ে আসছেন। পানীয় থেকে রান্না, রান্না থেকে স্নান— জল একটি প্রাকৃতিক সম্পদ হিসাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য। দৈনন্দিন কাজের জন্য যে জল ব্যবহার করা হয় তার বেশিরভাগই আসে ভূগর্ভ থেকে। আমাদের স্থিতিশীল এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা নিশ্চিত করতে এই প্রাকৃতিক সম্পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুস্বাস্থ্যের জন্য মিষ্টি জলের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। মিষ্টি জল নিশ্চিত করে যাতে আমরা সুস্থ এবং ভাল থাকি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জলের প্রাপ্যতাও হ্রাস পাচ্ছে। তাই ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ ফুরিয়ে না যায়।
তাজা জলের সংরক্ষণ
জলের অপচয় যাতে না হয়, সেই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে প্রতি বছর, ২২ মার্চ বিশ্ব জল দিবস পালন করা হয়। এই বছরও দিনটি গুরুত্ব সহকারে পালিত হয়েছে।
কীভাবে সূচনা হয়েছিল দিনটির? ১৯৯২ সালে প্রথম ইউএন জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে বিশ্ব জল দিবস পালনের জন্য একটি রেজোলিউশন নেওয়া হয়েছিল। তারপরে ২২ মার্চকে বিশ্ব জল দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম এই দিনটি পালিত হয়। ওই বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, বছরের একটি মাত্র দিন জীবনে তাজা জলের সংরক্ষণ এবং তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নিয়োজিত করা প্রয়োজন। তাই সেই বছর থেকেই, ২২ মার্চ বিশ্ব জল দিবস হিসাবে পালিত হচ্ছে। সভ্যতার বিকাশ, গাছপালা পরিচালনা এবং গাছপালা বৃদ্ধির জন্য জল অপরিহার্য। সঠিক ভাবে জল ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য দূষণ পরীক্ষা করাও প্রয়োজন। জল সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। বিশ্বব্যাপী জলসংকট মোকাবিলায় বিশ্ব জল দিবস মানব জীবনে জলের প্রয়োজনীয়তাকে উদযাপন করে। বিশ্ব জল দিবসের মূল ফোকাস হল উন্নয়নকে আরও দৃঢ় করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য জল এবং স্যানিটেশন অর্জনকে সমর্থন করা৷
অপচয় রোধ
রোজকার জীবনে সামান্য পরিবর্তন এনেই আমরা জলের অপচয় রোধ করতে পারি। সারাদিনের নানা কাজে ব্যাপক ভাবে জল ব্যবহৃত হয়। এই সব কাজ করার সময় যদি আমরা একটু সতর্ক থাকি, তাহলেই ভবিষ্যতের জন্য জল সংরক্ষণ করতে পারব। বনভূমি ধ্বংসের কারণে যেমন তাপমাত্রা বাড়ছে তেমনই কমেছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। তবুও বৃষ্টির দিনে আমরা জল সংরক্ষণ করতে পারি। ওই জল বাগানে দেওয়া যায়। এখন বেশিরভাগ বাড়িতে অ্যাকোয়াগার্ড রয়েছে। নতুন প্রযুক্তির ফলে অর্ধেকের বেশি জল আরও ফিলটার হয়ে বেরিয়ে যায়। ওই জল একটা পাত্রে ধরে রাখা যেতে পারে। ওই জলেই বাসন মাজা, ঘর মোছা, জামা-কাপড় কাচা যেতে পারে। বাড়িতে কোনও কল বা কোনও পাইপ লাইনে লিকেজ রয়েছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে টুপ-টুপ করে ক্রমাগত জল পড়ে। খেয়াল না করলেও এতে বেশ অনেকটাই জল নষ্ট হয়। অনেকেই শাওয়ারের নিচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন। এতে ব্যাপকভাবে জলের অপচয় হয়। স্নানের জন্য জল বালতিতে ভরে ব্যবহার করতে হবে। এতে জল কম খরচ হয়। একই ভাবে মুখ ধোয়ার সময়, ব্রাশ করার সময় কল খুলে দাঁড়িয়ে থাকা অনুচিত।

আরও পড়ুন-অধিগ্রহণ নয়, সম্মতির ভিত্তিতে জমি নেবে রাজ্য, বার্তা দেউচা-পাঁচামির বৈঠকে

জলের চাহিদা বাড়বে
ইউএন-এর মতে, এখন বিশ্বে প্রতি ৪ জনের মধ্যে অন্তত ১ জন পরিস্রুত পানীয় জল পান না। জলঘটিত নানা রোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া, স্বল্প উন্নত দেশে বহু মৃত্যু ঘটে। জীবনযাপনের মান ব্যাহত হয়। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর মতে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে জলের চাহিদা অন্তত ৫৫ শতাংশ বাড়বে। বিশ্বের মোট যা জল রয়েছে তার মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ পানের যোগ্য। তারও মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ বিভিন্ন হ্রদ ও নদীতে রয়েছে, যা মানুষ সরাসরি ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে সেইটুকু জলও ক্রমশ দূষিত হয়ে চলেছে। যার ফলে মানবস্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পোশাক থেকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পরমাণু থেকে বিদ্যুৎ শিল্প— এমন কোনও শিল্প নেই, যার জন্য জল দূষিত হয় না। কৃষিক্ষেত্রে লাগামহীন সারের ব্যবহারও জলদূষণের অন্যতম কারণ। অনেক সময় জলশোধন প্রক্রিয়াও ঠিকমতো হয় না। সব মিলিয়ে বিশ্বে ভবিষ্যতে জলের সমস্যা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলেই বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা। এই কারণেই জলের অপচয় রোখার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক স্তর থেকে পদক্ষেপের জন্য বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। নগরায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জলশোধন প্রক্রিয়া আরও আধুনিক করা, বৃষ্টির জল সঞ্চয় করে ব্যবহার করার মতো প্রক্রিয়া আরও উন্নত করারও চেষ্টা হচ্ছে। এই বিপদ কাটিয়ে উঠতে হবে। নাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
দ্রুত গলে যাচ্ছে
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ এবং কোটি কোটি মানুষের জন্য অপরিহার্য মিষ্টি জল সরবরাহের জন্য হিমবাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, ১৮০০ সাল থেকে মূলত মানুষের কার্যকলাপ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ দ্রুত গলে যাচ্ছে। জাতিসংঘ ২০২৫ সালকে হিমবাহ সংরক্ষণের আন্তর্জাতিক বছর হিসেবে মনোনীত করেছে, যাতে হিমবাহের গুরুত্ব জনমানুষের কাছে তুলে ধরা যায় এবং নিশ্চিত করা যায় যে হিমবাহের উপর নির্ভরশীল এবং ক্রায়োস্ফিয়ারিক প্রক্রিয়া দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তিরা প্রয়োজনীয় জলবিদ্যুৎ, আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিষেবা পান। এই প্রচেষ্টাগুলি বিশ্বব্যাপী মিষ্টি জল এবং বাস্তুতন্ত্রের পরিষেবার একটি মূল উৎস হিসেবে পার্বত্য অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেয়।

আরও পড়ুন-ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় আইইডি বিস্ফোরণে আহত সিআরপিএফ সাব-ইন্সপেক্টর প্রয়াত

সমস্যার মোকাবিলা
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০২৫ সালকে আন্তর্জাতিক হিমবাহ সংরক্ষণ বছর হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং ২০২৫ সাল থেকে প্রতি বছরের ২১ মার্চকে বিশ্ব হিমবাহ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। আন্তর্জাতিক হিমবাহ বর্ষ এবং বিশ্ব হিমবাহ দিবসের লক্ষ্য হল জলবায়ু ব্যবস্থা এবং জলবিদ্যুৎ চক্রে হিমবাহ, তুষার এবং বরফের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং পৃথিবীর ক্রায়োস্ফিয়ারে আসন্ন পরিবর্তনের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়ানো, পাশাপাশি এই বিষয়ে সর্বোত্তম অনুশীলন, জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং হিমবাহের দ্রুত গলে যাওয়া এবং এর পরিণতি সম্পর্কিত সমস্যার মোকাবিলা করা। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের জল দিবসের থিম হিমবাহ সংরক্ষণ।
বেড়েছে হ্রাসের হার
আন্তর্জাতিক ক্রায়োস্ফিয়ার ইনিশিয়েটিভের তথ্য অনুযায়ী, হিন্দুকুশ-হিমালয় অঞ্চলের হিমবাহ বৈশ্বিক গড় উষ্ণায়নের তুলনায় দ্বিগুণ গতিতে গলছে। বিশ্ব জুড়ে ২ লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি হিমবাহ রয়েছে, যা প্রায় ৭ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই হিমবাহগুলোতে বিশ্বের মোট মিষ্টি জলের প্রায় ৭০ শতাংশ জমা রয়েছে।
বিশ্ব গ্লেসিয়ার মনিটরিং সার্ভিস বা ডব্লুজিএমএস প্রায় দুই লাখ ১০ হাজার হিমবাহের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছে। তাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিশ্বের প্রায় সব হিমবাহ অঞ্চলই সঙ্কুচিত হচ্ছে। ১৯৭৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে হিমবাহের ভর হ্রাসের হার ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ
হিন্দুকুশ-হিমালয় অঞ্চলে হিমবাহ গলার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ প্রায় ২৪ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা সরাসরি হিমবাহের জলের উপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক পর্বত উন্নয়ন কেন্দ্রের সিনিয়র বিশেষজ্ঞ নীরা প্রধান জানিয়েছেন, এই মেরু অঞ্চলের বাইরে সবচেয়ে বেশি বরফ মজুত রয়েছে এবং এটা এশিয়ার ১০টি প্রধান নদীর উৎস। এই অঞ্চলে ৩৩০টি গুরুত্বপূর্ণ পাখি ও জীববৈচিত্র অঞ্চল এবং চারটি বৈশ্বিক জীববৈচিত্র হটস্পট রয়েছে। এই অঞ্চল হিমবাহের বিস্ফোরণজনিত বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্যও সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
ক্ষতি বয়ে আনবে
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হিমবাহ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। পশ্চিম কানাডার পেটো হিমবাহ এবং নেপালের লাংটাং ভ্যালির ইয়ালা হিমবাহ দ্রুত বিলুপ্তির পথে। পশ্চিম কানাডার পেটো হিমবাহ এই দশকের মধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্ব গ্লেসিয়ার মনিটরিং সার্ভিস বা ডব্লুজিএমএস নেটওয়ার্কের অধীনে এটা সবচেয়ে বেশি পর্যবেক্ষণ করা হিমবাহগুলোর অন্যতম। এর বিলুপ্তি বৈজ্ঞানিক, পরিবেশগত ও সাংস্কৃতিক ক্ষতি বয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নেপালের লাংটাং ভ্যালির ইয়ালা হিমবাহও বিলুপ্তির পথে। ১৯৭৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এটা ৬৮০ মিটার পিছনে সরে গিয়েছে। ২০১১ সালে এর উচ্চতা ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার ১৭০ থেকে ৫ হাজার ৭৫০ মিটারের মধ্যে, যা এখন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে।

আরও পড়ুন-কু-কথাতেই আছে দিলীপ পাল্টা প্রতিবাদ তৃণমূলের

জনসাধারণ সচেতন হবেন
জাতিসংঘের এই আন্তর্জাতিক বছর এবং বিশ্ব দিবসের লক্ষ্য হল জলবায়ু ব্যবস্থা এবং জলচক্রে হিমবাহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়ানো।
২০২৫ সালের বিশ্ব হিমবাহ দিবস এবং বিশ্ব জল দিবসের বিশ্বব্যাপী প্রচার নতুন প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ২০-২১ মার্চ ২০২৫ তারিখে প্যারিস এবং নিউ ইয়র্কে একটি উচ্চ-স্তরের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম বিশ্ব হিমবাহ দিবস এবং বিশ্ব জল দিবস পালিত হয়। পাশাপাশি পালিত হয় পৃথিবীর আরও কয়েকটি দেশে। পালিত হয়েছে আমাদের দেশেও। আশা করা যায়, জোরদার প্রচারের ফলে জল এবং হিমবাহ সংরক্ষণের ব্যাপারে জনসাধারণ সচেতন হবেন।

Latest article