প্রতিবেদন : স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে আর অবহেলা করা যাবে না। এমনই স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এবার থেকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ, এই কার্ড না থাকলে কোনও সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা পাবেন না আপনি!
যদিও প্রাথমিক ভাবে তার বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আপনি যদি এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না করে থাকেন সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালেই আপনার কার্ড বানিয়ে দেওয়া হবে। সঙ্গে রাখতে হবে আধার কার্ড।
আরও পড়ুন : জয় শ্রীরাম বললেই কি কমে যাবে তেলের দাম? প্রশ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের
তবে যদি কেউ CGHS, WBHS বা ESI দেখান, তাহলেও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যাবে। নয়া নির্দেশিকা জারি করে এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
প্রসঙ্গত, বছরে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুযোগ মেলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ”দুয়ারে সরকার” ক্যাম্প থেকে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করিয়ে নিতে পারেন নাগরিকরা। এই কার্ড দেখিয়ে শর্ত সাপেক্ষে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারেন আপনি।
অনেক বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-এর সুবিধা থেকে রোগী পরিবারকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা, “অনেক নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড অবহেলা করছে। সরকারি প্রকল্পকে মান্যতা দিতেই হবে। না হলে তো তাদের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে”। এবার সরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা করাতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশিকা জারি করা হল।