দোহা: মহারণের আগে দিদিয়ের দেশের মুখেও লিওনেল মেসি! শনিবার কিলিয়ান এমবাপেদের কোচ বলেই ফেললেন, ‘‘আর্জেন্টাইনরা তো চাইবেই। বিশ্বের আরও অনেক মানুষ এমনকী, অনেক ফরাসিও চায় মেসি যেন বিশ্বকাপ জেতে। তবে এই জায়গায় পৌঁছে আমরাও খালি হাতে দেশে ফিরতে রাজি নই। কাপ জেতার জন্য যা যা করার আমরা সবই করব।’’
ফাইনালের আগে স্বস্তিতে নেই ফ্রান্স। একের পর এক ফুটবলার ক্যামেল ফ্লুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। র্যাবিয়ট, উপামেকানো, কিংসলে কোমানের পর ভারান ও ইব্রাহিম কান্তে। তালিকাটা ক্রমশ বাড়ছে। দেশঁ (Didier Deschamps) যদিও বলছেন, ‘‘আমি মোটেই চাপে নেই। বরং ঠান্ডা মাথায় ফাইনালের জন্য মনঃসংযোগ করছি।’’ রবিবাসরীয় ফাইনাল জিতলেই ইতিহাসের পাতায় চিরস্থায়ী জায়গা করে নেবেন ফরাসি কোচ। এদিনও করিম বেঞ্জেমাকে নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে দেশঁকে (Didier Deschamps)। ফরাসি কোচের বক্তব্য, ‘‘ঘুরিয়ে ফিরিরে সেই একই প্রশ্ন! এটা আমার কাছে অত্যন্ত বিরক্তিকর। আমার ফুটবলারদের মধ্যে অনেকেই চোট পয়েছে। করিম ওদের মধ্যে একজন।’’ দেশঁর জন্য সুখবর, যেসব ফরাসি ফুটবলাররা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। শনিবার সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনেও নেমে পড়েন ভারান, র্যাবিয়ট, উপামেকানোরা।
ফরাসি অধিনায়ক হুগো লরিস বলছেন, ‘‘মনে রাখবেন এটা বিশ্বকাপ ফাইনাল। আর লড়াইটা দুটো ঐতিহ্যশালী দেশের মধ্যে। কোনও একজন বিশেষ খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে নয়। মেসির মতো খেলোয়াড় বিপক্ষ শিবিরে থাকলে আলোচনা হবেই। তবে ফুটবলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।’’ যাঁকে নিয়ে যুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন দেখছে ফরাসিরা, সেই এমবাপে আবার দারুণ মেজাজে। পাঁচ গোল করে সোনার বুটের দৌড়ে থাকলেও, শেষ দুটো ম্যাচে গোল পাননি এমবাপে। ফাইনালে বাড়তি খিদে নিয়ে মাঠে নামবেন তিনি।