প্রতিবেদন : শয়ে শয়ে মৃতদেহ। তাদের রাখার মতো ব্যবস্থাও নেই। ফলে দুর্গন্ধময় পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সাধারণভাবে মাইনাস ১৫ ডিগ্রি নিচের তাপমাত্রায় মর্গে সংরক্ষণ করা থাকে দেহ। এইরকম কোনও ব্যবস্থাই নেই। ১০১টি মৃতদেহের এখনও চিহ্নিতকরণ হয়নি। এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে, যেখানে একটি মৃতদেহের দাবিদার একাধিক পরিবার।
আরও পড়ুন-টিকরবেতার কাঁসা-পিতল শিল্প বিলুপ্তির পথে
মৃতদেহের অবস্থা এতটাই খারাপ যে কোনওভাবেই তাঁর পরিচয় পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ৫৫টি দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও ১০১টি দেহ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাংলার মোট ১০৩ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। ৮৬ জনের দেহ ফিরেছে রাজ্যে। বাকি দেহগুলিও ফেরানো হচ্ছে। ৩১ জনের এখনও কোনও হদিশ মেলেনি। প্রায় ২০০ জন আহতের চিকিৎসা চলছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা সরকারের যৌথ উদ্যোগে এইমস ভুবনেশ্বরে বসানো হয়েছে হেল্প ডেস্ক। মঙ্গলবার থেকে এইমস ভুবনেশ্বর হাসপাতালের সামনে ওড়িশা সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার যৌথভাবে হেল্প ডেস্ক বসিয়েছে। বালেশ্বর বিপর্যয়ে আহত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি অথবা যাঁদের পরিজনদের কোনও খোঁজ নেই, তাঁরা যে কোনওরকমের সাহায্য পাবেন এই ডেস্ক থেকে। ছবি দেখিয়ে হেল্প ডেস্ক সহযোগিতা করছে যাঁদের স্বজনদের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।