বেঙ্গালুরু, ২২ ফেব্রুয়ারি : ‘‘তখন যা করতাম, দেখতাম একশো লোক ঘিরে আছে আমায়! প্রথমদিকে ভালই লাগত। কিন্তু পরে বুঝলাম আমার কোনও ব্যক্তিগত জীবন নেই। এটা অসহ্য হয়ে উঠেছিল আমার কাছে।” বলছেন বিয়র্ন বর্গ (Bjorn Borg)। মাত্র ছাব্বিশে যিনি সাজানো রাজ্যপাট ছেড়ে টেনিস থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন।
ক্লে কোর্ট বা ঘাসের কোর্ট, সর্বত্র সুইডেনের তরুণ রাজত্ব করেছেন সেইসময়। ঠাণ্ডা মাথায় প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছেন। মেজাজি ম্যাকেনরো বা শিল্পী কোনর্স যখন কোর্টে ঝড় তুলছেন, তখন বর্গ ছিলেন মাথায় বরফ নিয়ে খেলা এক তরুণ। তাঁকে বলা হত আইস বর্গ। কিন্তু তিনি হঠাৎ এসে ফিনিক্স পাখির মতো হারিয়ে যাওয়া এক কিংবদন্তি। বর্গের হঠাৎ এই বিদায় নিয়ে আজও মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। একটি ইংরেজি পত্রিকায় যা নিয়ে মুখ খুলেছেন ৬৬ বছরের প্রাক্তন।
আরও পড়ুন: কোচের সঙ্গে লড়াই ছিল না রোনাল্ডোর
বেঙ্গালুরু ওপেন উপলক্ষে বর্গ (Bjorn Borg) এখন গার্ডেন সিটিতে। সেখানে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার তখন ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু ছিল না। তাই সরে যাই। টেনিসের বাইরের জীবনকে বেছে নিয়েছিলাম। এখন প্লেয়াররা অনেক নিরাপত্তা পায়। আমার সময় সেটা পেলে হয়তো টেনিস চালিয়ে যেতে পারতাম।” বর্গ বেঙ্গালুরুতে পাশে পেয়েছেন ১৯৭৩-এ প্রথমবার মোলাকাত হওয়া বিজয় অমৃতরাজকে। ‘‘তখন বিজয় এত কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল যে কেউ ওর মুখোমুখি হতে চাইত না। আমাদের মধ্যে বরাবর দারুণ সম্পর্ক। কোর্টে ও বাইরে পরস্পরকে শ্রদ্ধা করে এসেছি।” বলেন সাতের দশকের টেনিস বিস্ময়।
গত দু’দশক ধরে টেনিস দুনিয়া শাসন করেছেন রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জকোভিচ। এখন নতুন প্রজন্ম উঠে এসেছে। যা নিয়ে বর্গের বক্তব্য হল, ‘‘কেউ টেনিসের থেকে বড় নয়। মিডিয়াকে তাই নতুন প্রজন্মকে তুলে ধরতে হবে।”