প্রতিবেদন : রবিবার সকালে হঠাৎই নাটকীয় পট পরিবর্তন। অতীতের মতো ফের চমক দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিনই ছিল সিএবি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। সচিব পদে সম্ভাব্য প্রার্থী প্রবীর চক্রবর্তীকে ফোন করে সৌরভ বললেন, ‘‘আপনি কোষাধ্যক্ষ পদে মনোনয়ন জমা দিন। আমি মনোনয়ন জমা দিচ্ছি না। দাদা (স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়) সভাপতি (Snehasish Ganguly- Sourav Ganguly) পদে মনোনয়ন দেবে।” তবে অবাক হননি প্রবীর। শনিবার রাতেই তাঁর প্যানেলের একটা আভাস বাকিদের দিয়ে রেখেছিলেন সৌরভ। রবিবার দুপুর ২টো নাগাদ সৌরভ সিএবি-তে আসেন। সেখানে বাকি পদাধিকারীদের জানিয়ে দেন তাঁর মনের কথা।
শেষ পর্যন্ত এদিন বিকেলে সমঝোতার ভিত্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে যে মনোনয়নপত্র জমা পড়ল সিএবি-তে, তাতে দেখা গেল সভাপতি স্নেহাশিসের (Snehasish Ganguly- Sourav Ganguly) সঙ্গে সহসভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিলেন সাউথ সুবার্বন ক্লাবের অমলেন্দু বিশ্বাস, সচিব পদে বিদায়ী সহসভাপতি নরেশ ওঝা, কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তী এবং যুগ্মসচিব পদে দেবব্রত দাস। বিরোধী প্যানেল জমা পড়েনি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছে স্নেহাশিসের প্যানেল। সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর দাদা স্নেহাশিসকে শুভেচ্ছা জানান সৌরভ। ৩৩ বছর আগে রঞ্জি ফাইনালে বাংলা দলে ভাইকে জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন দাদা। এবার যেন ঋণশোধ করলেন ভাই সৌরভ। সেই সঙ্গে তিনি নিন্দুকদের বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ক্ষমতালোভী নন। নিরপেক্ষভাবেই কাজ করতে ভালবাসেন।
আরও পড়ুন: হার ডায়মন্ড হারবারের
বিসিসিআই প্রধানের পদ থেকে অপসারিত হয়ে সিএবি নির্বাচনে লড়তে চেয়েছিলেন সৌরভ। ভোটে জিতেই সমালোচকদের কুৎসার জবাব দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনটাই হচ্ছে না। যদি ভোট হত, তা হলে লড়তেন সৌরভ। ফাঁকা মাঠে তিনি দৌড়বেন না। সেটা করলে ফের হয়তো নানা দিক থেকে ধেয়ে আসত সমালোচনা। এ সব আঁচ করেই নাকি শেষ মুহূর্তে সরে গেলেন মহারাজ। অবশ্য ওয়াকিবহাল মহলের মতে, লোধা আইন খতিয়ে দেখেই সিএবি সভাপতি হলেন না সৌরভ। কারণ, সিএবি-তে এলে তাঁর ব্র্যান্ড ধাক্কা খেত। আইপিএল দলের মেন্টর হওয়া বা ধারাভাষ্য দেওয়ার মতো পছন্দের কাজগুলোও আটকে যেত স্বার্থের সংঘাতের জাঁতাকলে। অগত্যা বুদ্ধিমানের মতো আগেই সিদ্ধান্তটা নিলেন।