প্রতিবেদন : প্রথমে সাসপেনশন, তারপর লোক দেখানো এফআইআর, কিন্তু কোথায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা? কেন এখনও গ্রেফতার করা হল না অভিযুক্ত বিজেপির দুই নেতা-নেত্রীকে? শনিবার কড়া ভাষায় এই প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তৃণমূল ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে এমনই প্রশ্ন তুললেন দলের জাতীয় মুখপাত্র ও রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। টিভি বিতর্কে দুই বিজেপি নেতা-নেত্রীর পয়গম্বর নিয়ে অশালীন মন্তব্যের জেরে উত্তপ্ত গোটা দেশ। ঘটনার জেরে আন্তর্জাতিক দুনিয়াতেও চাপে মোদি সরকার। প্রথমে উত্তরপ্রদেশের কানপুর তারপর প্রয়াগরাজে বিক্ষোভ হয়েছে। ঘটনার জেরে গত ৭২ ঘণ্টা ধরে উত্তপ্ত হাওড়ার একাধিক জায়গা। চলছে অবরোধ, বিক্ষোভ। সেই নিয়ে এদিন সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy) বলেন, দেশের ইতিহাসে টাকার দাম সর্বনিম্ন, পেট্রোল-ডিজেলের দামে বিশ্বে এখন ভারতের স্থান তিন নম্বরে, রান্নার গ্যাসের দামে ভারত এখন দুনিয়ায় এক নম্বরে, বেকারত্ব চরমে, রেলে সমস্ত নিয়োগ বন্ধ, নতুন চাকরি তো দূর, করোনাকালে কাজ হারিয়ে বেকার কয়েক কোটি মানুষ, পরিবেশ রক্ষায় ১৮০টি দেশের মধ্যে মোদির ভারতের জায়গা ১৮০ নম্বরে। সবমিলিয়ে করুণ অবস্থা। এই অবস্থা থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরাতেই এভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি ও তার দলবল। তিনি বলেন, কিছু মানুষ বিক্ষোভ, অবরোধ করছেন। সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলছেন। কিন্তু তার আগেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বারবার সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন। কোনও উত্তেজনা বা উসকানিতে পা দেবেন না। বাংলায় শান্তি আছে, তা বজায় রাখুন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি করজোড়ে সবার কাছে এই প্রার্থনাও জানান। কিন্তু তারপরও বাংলার রাজ্যপাল ও এ রাজ্যের কিছু উঠতি বিজেপি নেতা উত্তেজক কথা বলে যাচ্ছেন। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনার পরই ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। একাধিক জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। প্রশাসন সাফ জানিয়ে দিয়েছে দল, মত, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হচ্ছে। কারা এটা করছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে বিজেপি নেতারা এই উত্তেজনায় ইন্ধন জোগাতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। এর আসল কারণ, দেশের আর্থিক অবস্থা থেকে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া।
আরও পড়ুন: বিজেপির বুলডোজার মন্তব্য, অশান্তি