প্রতিবেদন : আজ পঞ্চায়েত যুদ্ধ। স্বাভাবিকভাবেই প্রস্তুত তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকরা। সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের প্রতি দলের নির্দেশ, ভোট হবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। নির্বিঘ্নে মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কেউ কোনওরকম প্ররোচনায় পা দেবেন না। বিশেষ করে দলীয় প্রার্থীদের এজেন্ট হিসেবে যাঁরা বুথে বসবেন, তাঁদের দায়িত্ব বাকিদের তুলনায় একটু বেশি।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের ভাষণ! লঙ্ঘিত নির্বাচনবিধি
তাঁদের অনেক বেশি চোখ-কান খোলা রেখে ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে জড়িত থাকতে হয়। দলের তরফে প্রতিবারের মতো এবারও তাঁদের বেশকিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—
১. ঘণ্টা পড়ার অনেক আগেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে এজেন্টদের।
২. বুথে ভোটার লিস্ট মিলিয়ে দেখে নিতে হবে। কোন বুথে কোন সিরিয়ালের ব্যালট তা দেখে নিতে হবে।
৩. তিনটে করে ভোট পড়বে। ফলে ব্যালট পেপার নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তিনটি আলাদা রঙের ব্যালট পেপার হবে। তা আলাদা আলাদা বাক্সে ফেলতে হবে। ভোট শেষে বাক্সগুলি গালা লাগিয়ে ঠিকমতো সিল করা হল কি না তা দেখে নিতে হবে।
৪. বুথের বাইরে যাই ঘটুক না কেন টেবিল ছেড়ে যাওয়া যাবে না।
৫. বিরোধীদের তরফে কোনও গন্ডগোলের চেষ্টা হলে মাথা ঠান্ডা রেখে সামাল দিতে হবে। প্রিসাইডিং অফিসারকে অভিযোগ করতে হবে।
৬. বড় রকমের কোনও গন্ডগোল হলে তা স্থানীয় নেতৃত্ব ও জেলা নেতৃত্বকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন-বেলডাঙায় খুন তৃণমূল কর্মী, নন্দীগ্রামে অপহৃত দলীয় প্রার্থী
৭. বাহিনীকে তাদের কাজ করতে দিন। এজেন্টরা তাঁদের কাজ করুন।
৮. যতক্ষণ না ভোট গ্রহণ শেষ হচ্ছে ততক্ষণ বুথে থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, ভোট গ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্স ঠিকমতো সিল করা হচ্ছে কি না তা দেখে নিতে হবে।
৯. ব্যালট বাক্স গাড়িতে তুলে ভোটকর্মীরা চলে না যাওয়া পর্যন্ত বুথ চত্বর ছাড়া যাবে না।
১০. কোনও প্রয়োজনে বুথের বাইরে যেতে হলে রিলিভার না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কোনও অবস্থাতেই বুথ ফাঁকা রেখে কোথাও যাওয়া চলবে না।
১১. ভোট শেষে এজেন্টরা যে ফর্ম নিয়ে যাবেন তা প্রার্থী অথবা তার নির্বাচনী এজেন্টকে দিয়ে সই করিয়ে নেবেন।
আরও পড়ুন-‘প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায়’ টুইট বার্তায় প্রশ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের
পঞ্চায়েতের লড়াই শুরুর আগে সুষ্ঠু ও অশান্তিহীন স্বাভাবিক নির্বাচনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বাংলার সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন করেছেন। তাঁর কথায়, গ্রাম বাংলার আপামর জনসাধারণ নির্বিঘ্নে তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন, এটাই আমার আবেদন সকলের কাছে। বর্ষীয়ান নেতা ও বহু ভোটযুদ্ধের সেনাপতি অভিজ্ঞ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও দলীয় নেতা-কর্মীদের মাথা ঠান্ডা রেখে ভোট পর্ব পার করার কথা বলেছেন।