শনিবার সকালে আমতায় গিয়ে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়তে হয় সিটের সদস্যদের। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী আনিস
খানের দেহের (anis khan death) দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য সিটের প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল হাইকোর্ট। শনিবার ভোরে আমতায় আনিসের গ্রামে গিয়ে কবর খুঁড়ে দেহ তোলার কাজ শুরু করতে যায় সিটের সদস্যরা । জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিশাল পুলিশবাহিনী সাথে ছিল। কিন্তু কাজ শুরু করতেই বাধা দেন গ্রামবাসীরা ।
আরও পড়ুন-প্রাণে বাঁচতে পায়ে হেঁটেই
জানা গিয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ বারবার গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয় বাসিন্দারা পিছু হটেননি। আনিসের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এদিন ভোরেই যে আনিসের দেহ তোলা হবে তা আগে থেকে জানানো হয়নি। পুলিশ কিছু খবর না দিয়েই দেহ তুলতে চলে এসেছে। তাই গ্রামবাসীরা পুলিশকে আটকাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাই শনিবার ভোরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয় আনিসের গ্রামে। শেষে গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে আসতে হয় পুলিশকে।
আরও পড়ুন-নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধাচারণ করল না ভারত
সিট -এর তরফে জানানো হয়েছে এভাবে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হতে হতে তদন্তের কাজ শ্লথ হয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিটকে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কিন্তু এভাবে তদন্ত বারবার বাধাপ্রাপ্ত হলে সেই সময়সীমার মধ্যে কীভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হবে তাই নিয়ে যারপরনাই চিন্তায় সিট সদস্যরা।