শুক্রবারই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে ঠিক করা হয় যে ইনভেস্টোর কোম্পানি শ্রী সিমেন্টের মূল চুক্তিপত্রে সই করবে না। ফাইনাল এগ্রিমেন্টে সই না করার ব্যাপারে একজোট হয় ক্লাবের কর্মসমিতির সদস্যরা। সেখানে বলা হয়, সদস্য-বিরোধী চুক্তিতে সই করবে না ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। কিন্তু বিষয় হল মূল চুক্তিপত্রে ঠিক কোথায় আপত্তি ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের? খোঁজ করে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে যে চুক্তিপত্র পাঠানো হয়েছিল, সেখানে বেশ কিছু বিষয়ে আপত্তি ছিল কর্মকর্তাদের। তবে সেইসব সমাধান করার বদলে আরও বেশ কিছু নতুন শর্ত যোগ করে শ্রী সিমেন্ট। সেখানে বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে ক্লাবে সদস্য সমর্থকরা প্রবেশ করতে পারবেন না। ঠিক এখানেই আপত্তি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের।
আরও পড়ুন-আটে নেমে সেঞ্চুরি: রেকর্ড আয়ারল্যান্ডের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিমি সিং
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের আপত্তি এক্সিট ক্লজ নিয়ে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এক্সজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে অনেকক্ষণ আলোচনা হয়েছে এই এক্সিট ক্লজ নিয়ে। ‘এগজিট ক্লজ’ নিয়ে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারী সংস্থা বাজারদর অনুযায়ী নিজেদের শেয়ার তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রয় করতেই পারে। কিন্তু বিচ্ছেদের আগে ক্লাবকে প্রথমে শেয়ার কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে। তা না হলে ইনভেস্টোর কোম্পানি তা অন্য কোনো সংস্থাকে বিক্রি করতে পারবে। এখানেই আপত্তি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। লাল-হলুদ কর্মকর্তাদের যুক্তি, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বিনিয়োগ করার সময় মেধাস্বত্ত্ব বাবদ আলাদা অর্থ খরচ করেনি শ্রী সিমেন্ট। শুধুমাত্র বিনিয়োগ বাবদ নির্দিষ্ট অর্থ লগ্নি করেছে। তাই বাজারদর মেপে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করা এই পয়েন্ট কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
ইনভেস্টোর কোম্পানির মুল চুক্তিপত্রে যে সই করবে না লাল-হলুদ কর্তা তা জানিয়ে দিয়েছে শুক্রবার। যদিও শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয় “মুল চুক্তিপত্রে সই না করার বিষয় নিয়ে আমাদের কাছে কোনও সরকারি মেল আসেনি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তবে সই না হলে আমরা একটাকাও ইনভেস্ট করবো না।”
এদিকে ক্লাবের পক্ষ থেকে আশাবাদী বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে জট খুলবেই।