সংবাদদাতা, হুগলি : নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে অয়ন শীল (Ayan Shil)। আর সেই অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বিরোধীরা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। কিন্তু আদতে দেখা যাচ্ছে হুগলি জেলার বাসিন্দা অয়ন শীলের (Ayan Shil) উত্থান বাম আমলে। অয়ন যেসময় থেকে চাকরি দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় হুগলি জেলা পরিষদ থেকে চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্র বামেদের দখলে ছিল। অয়ন শীলের উত্থানের সময় বিধায়ক ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন দে। তিনি বাম সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। জেলা পরিষদও তখন ছিল বামেদের দখলে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, বাম নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ ছিল অয়ন শীল। বাম জমানাতেই তার চাকরি দেওয়ার বিষয়ে প্রতিপত্তি। ধৃত অয়ন শীলকে ঠিকভাবে চেনেন না বলেই জানান হুগলি জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের দাবি যে অয়ন শীলের বাম জমানায় উত্থান। ঠিকভাবে তদন্ত হলে অনেক বাম নেতা-মন্ত্রীর নাম উঠে আসবে চাকরি দেওয়ার ঘটনায়। আর বাম আমলে চাকরির বেনিয়মের ঘটনাও সামনে আসবে। আসলে বিরোধীরা চক্রান্ত করে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে অয়নের ঘটনায়। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই বাম নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে অয়নের। অয়নের উত্থানের সময় জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন বামেদের প্রদীপ সাহা এবং তারপর অয়ন মিত্র। অয়ন শীলের উত্থান যে বাম আমলেই সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই বিষয়ে হুগলি জেলা সিপিএমের সম্পাদক দেবব্রত ঘোষকে ফোন করা হলে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত হুগলির বেশিরভাগ পুরসভা বামেদের দখলে ছিল। ওইসব পুরসভায় কর্মী নিয়োগে অয়নের এবিএস ইনফোসিস কোম্পানি কাজ করেছে। এবার প্রশ্ন, বাম জমানার তথ্য পেতে ইডি আগামী দিনে কবে বাম নেতাদের ডাকবে।
আরও পড়ুন: পুরসভায় কাজে যাচ্ছেন না শ্বেতা