প্রতিবেদন : রক্তক্ষয়ী সংঘাতে বিধ্বস্ত প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ড। ইজরায়েলের উপর হামাসের (Hamas Attack) অতর্কিত হামলা ও তার পরবর্তী প্রত্যাঘাতে দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া গাজার সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে এবার মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলির ভূমিকা নিয়ে সরব হয়ে উঠলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী তথা রিপাবলিকান পার্টির নেত্রী নিক্কি হ্যালি। তাঁর অভিযোগ, কঠিন পরিস্থিতিতে গাজার অসহায় সাধারণ মানুষ উপত্যকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে চায়। কিন্তু তাদের জন্য মুসলিম দেশগুলি দরজা খুলে দিচ্ছে না। এখন কোথায় গেল তাদের মানবিকতা?
ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করেন রিপাবলিকান নেত্রী। পাশাপাশি ইরানের বিরুদ্ধে হামাস (Hamas Attack) ও হিজবুল্লাহের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে মদত দেওয়া ও শক্তিশালী করার অভিযোগ তোলেন। হ্যালি বলেন, প্যালেস্তাইনের অসহায় সাধারণ মানুষগুলিকে নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কিন্তু আরব দেশগুলি এখন কোথায়? তারা কী ভূমিকা পালন করছে? কাতার কোথায়? লেবানন কোথায়? জর্ডন কোথায়? মিশর কোথায়? আপনি কি জানেন যে আমরা মিশরকে বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি দিই? কেন তারা তাদের দরজা খুলছে না? কেন তারা প্যালেস্তাইনের এই বিপদে সেখানকার জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছে না? হ্যালির যুক্তি, আরব দেশগুলির কোনওটিই হামাসকে প্রতিবেশী হিসেবে দেখতে চায় না, সেক্ষেত্রে ইজরায়েল কেন তাদের প্রতিবেশী হিসেবে চাইবে? ফলে যা ঘটছে তা নিয়ে সততার সঙ্গে সত্যি কথাটা বলা হোক। ইজরায়েলকে একতরফা দোষারোপ করে লাভ নেই। প্রথম আক্রমণ চালিয়েছে হামাস। আর এখন আরব দেশগুলিও প্যালেস্তিনীয়দের সাহায্য করার জন্য কিছুই করছে না। কারণ তারা বুঝতে পারছে না, কে ভাল, কেই বা খারাপ, তবে যে ঘটনা ঘটছে তা তারা নিজেদের দেশে চায় না। একইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বলেন, এই ইসলামিক দেশগুলি আমেরিকাকে দোষারোপ করবে। তারা ইজরায়েলকে দোষারোপ করবে। তারা কিছু করবে না। যদিও তারা চাইলে এটা বন্ধ করতে পারে। সে ক্ষমতা তাদের আছে।