মনরেগা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ বারবার তোলা হয়েছে বিভিন্ন অবিজেপি রাজ্য থেকে। এবার সেই একই কথা বলল সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। লোকসভায় পেশ করা পঞ্চায়েতিরাজ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, মনরেগার মজুরি নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে মনরেগায় সারা দেশে সমান মজুরির সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রের নীরবতা নিয়ে ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী, টুইট বার্তায় ক্ষোভপ্রকাশ
ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝির নেতৃত্বাধীন স্থায়ী কমিটি আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছে। তার মধ্যে একটি হল, রাজ্যগুলিতে মনরেগার টাকা বকেয়া পড়ে থাকা। গত মার্চে কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারির হিসেবে মজুরি বাবদ রাজ্যগুলির কেন্দ্রের থেকে পাওনা ৬,২৩১ কোটি টাকা এবং সরঞ্জাম বাবদ পাওনা ৭,৬১৬ কোটি টাকা। এবারের রিপোর্টে সেই বিষয়টি তুলে ধরে কমিটি জানিয়েছে, মনরেগার টাকা রাজ্যগুলিকে দ্রুত মেটানো কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া চলবে না। মনরেগা খাতে রাজ্যগুলির বিপুল পরিমাণে বকেয়া মেটাতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। গত ২৫ জুলাই তৃণমূল সাংসদ দেবের লিখিত প্রশ্নের জবাবে গ্রামোন্নয়নমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ৯ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গকে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি মনরেগা খাতে। অন্যদিকে ডিএমকে সাংসদ এ কে পি চিনরাজের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ২১ জুলাইয়ের হিসেবে মনরেগা খাতে বাংলার মজুরি বাবদ বকেয়া ২,৭৬৫.৫৫ কোটি টাকা এবং সরঞ্জাম খাতে বকেয়া ২৪.৮২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-‘মোদির কাছে কি ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট নেই?’ মণিপুরে নির্যাতিতাদের প্রশ্ন, দিল্লি ফিরে ক্ষুব্ধ সুস্মিতা
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেটে মনরেগায় বাজেট বরাদ্দের অঙ্ক ৭৩,০০০ কোটি থেকে কমিয়ে ৬০,০০০ কোটি টাকা করেছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কমিটি গ্রামোন্নয়ন দফতরের এই পদক্ষেপে খুশি নয়। কারণ, এর ফলে গ্রামের গরিব মানুষের মনরেগার মতো প্রকল্প থমকে যাবে অর্থের অভাবে। যার ফলে সমস্যায় পড়বেন গ্রামের গরিব মানুষ। এছাড়াও রিপোর্টে বলা হয়েছে, মজুরির অসমতা এবং মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মজুরি বৃদ্ধি না করা শ্রমিকদের প্রতি অবিচার।